তিনি বলেন, সম্প্রতি সিচেলেসের সঙ্গে বাংলাদেশের শ্রমিক পাঠানোর ব্যাপারে চুক্তি হয়েছে। বাংলাদেশের দক্ষ ও যোগ্যকর্মীরা স্বল্প খরচে সিচেলেসে যেতে পারবেন।
রোববার (২৭ অক্টোবর) প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সদ্য স্বাক্ষরিত হওয়া বাংলাদেশ-সিচেলেস শ্রম সহযোগিতা চুক্তির বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম রেজাসহ মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, বাংলাদেশ থেকে সিচেলেসে কর্মী পাঠাতে পাঁচ থেকে ছয় লাখ টাকা লাগবে না। সরকারিভাবে খুব কম খরচে ওই দেশে শ্রমিক যেতে পারবে। তবে কি পরিমাণ শ্রমিক যাবে সেটা নির্ধারণ হবে তাদের চাহিদার ওপর। সিচেলেসের শুধুমাত্র সরকারিভাবে কর্মী যেতে পারবে। বেসরকারি কোনো এজেন্ট সিচেলেসেকর্মী পাঠাতে পারবে না। সেজন্যই যারা সিচেলেসে যেতে ইচ্ছুক তারা কোনো এজেন্টকে টাকা দেবেন না।
তিনি বলেন, সিচেলেসে বর্তমানে প্রায় দুই হাজার ৫০০ বাংলাদেশি কর্মী কর্মরত রয়েছেন। ওই দেশে নির্মাণ শিল্পে অধিকাংশ কর্মী কাজ করে থাকেন। এছাড়া হোটেল, ট্যুরিজম, স্বাস্থ্যসেবা হাউসকিপিং, কুক, ভিলা অ্যাটেনডেন্ট, কৃষি খামার, পোল্ট্রি খামার খাতেও বাংলাদেশি কর্মীরা কর্মরত রয়েছেন। এছাড়া ফিশিং ও ফিশ ইন্ডাস্ট্রিজ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং ট্যুরিজম খাতে বাংলাদেশি কর্মীদের কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জন্য সিচেলেসের সম্ভাবনাময় শ্রমবাজারে একটি সুশৃঙ্খল কাঠামোবদ্ধ প্রক্রিয়ায় কর্মী পাঠানো সম্ভব হবে এবং উভয় দেশ অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে। দু'দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে। বাংলাদেশি কর্মীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় ও অধিকারসমূহ সুরক্ষিত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে সচিব সেলিম রেজা বলেন, সিচেলেসে বাংলাদেশি জনশক্তি পাঠানোর বিষয়ে গত ২১ অক্টোবর আমাদের সঙ্গে তাদের একটি চুক্তি সই হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী প্রতিটি কর্মী মাসে ৪০০ থেকে ৫০০ ডলার বেতন পাবেন। তারা স্বল্প ব্যয়ে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিতে চায়। তবে কতজন কর্মী নেবে তা এখনও বলা যাচ্ছে না। তাদের চাহিদা অনুযায়ী কর্মী দেওয়া হবে।
২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে সিচেলেস সরকার বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়া সাময়িক বন্ধ রাখে। এরপর উচ্চ অভিবাসন ব্যয় হ্রাসসহ একটি সুশৃঙ্খল ও কাঠামোবদ্ধ প্রক্রিয়ায় সিচেলেসে এ কর্মী পাঠানোর লক্ষ্যে উভয় দেশ শ্রম সহায়তা চুক্তি সম্পাদনের বিষয়ে আগ্রহ ব্যক্ত করে। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের মার্চ মাসে সিচেলেস সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকা সফর করেন। তারা প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে টেকনিক্যাল সভায় মিলিত হয়। পরবর্তীতে গত ২১ অক্টোবর দুই দেশের সঙ্গে এ চুক্তি সই হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৯
জিসিজি/আরআইএস/