রোববার (২৭ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টায় বিসিক ভবনের নিচ তলায় বিসিক চেয়ারম্যান মো. মোশতাক হাসান প্রধান অতিথি হিসেবে মধুমেলার উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পরিচালক (বিপণন ও নকশা) মো. মাহবুবুর রহমান।
প্রধান অতিথি বক্তব্যে বিসিক চেয়ারম্যান বলেন, বিসিক দেশব্যাপী ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্প খাতের উন্নয়নে উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন ধরনের সেবা-সহায়তা দিয়ে আসছে। পাশাপাশি আধুনিক পদ্ধতিতে মৌচাষের মাধ্যমে মধু উৎপাদন বাড়ানোর কার্যক্রমও পরিচালনা করছে। ১৯৭৭ সাল থেকে বিসিক মৌচাষের কার্যক্রম গ্রহণ করে। দেশে বর্তমানে দুই প্রজাতির যথা, অ্যাপিস মেলিফেরা এবং অ্যাপিস সেরেনা বা দেশজ প্রজাতির মৌমাছি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মৌবাক্সে চাষ করা হয়। মধু উৎপাদন এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও সফল পরাগায়নের মাধ্যমে ফসলের উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে এ দু’প্রজাতির মৌমাছি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মৌবাক্সে চাষ করা প্রয়োজন। ফসলের মাঠে মৌমাছিরা বিচরণ করে সেখানে বাড়তি পরাগায়নের কারণে ফসলের উৎপাদন ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যায়।
অনুষ্ঠানের আধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে মৌমাছি পালন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক খন্দকার আমিনুজ্জামান বলেন, আধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে দেশব্যাপী মৌচাষে চাষিদের উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে মধু উৎপাদন বাড়ানো এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে মানুষের আয় বাড়ানোর মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণ সম্ভব। এ কার্যক্রম পালনের মাধ্যমে এরই মধ্যে বিসিক দেশব্যাপী প্রায় ১৮ হাজার নারী ও পুরুষকে আধুনিক পদ্ধতিতে মৌ-চাষ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। তাছাড়া আধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে মৌচাষ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৬ হাজার মানুষকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণ গ্রহণকারীদের অনেকেই বর্তমানে মৌচাষের মাধ্যমে মধু উৎপাদনে যথেষ্ট সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। মৌচাষিদের উৎপাদিত মধুর ব্যাপক পরিচিতি ও বাজার সৃষ্টি এবং মধু ব্যবহার সম্পর্কে মানুষের মাঝে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে এ মধুমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিসিক পরিচালক (প্রযুক্তি) ড. মোহা. আব্দুস ছালাম ও বিসিক পরিচালক (প্রকল্প) মোহাম্মদ আতাউর রহমান ছিদ্দিকী, মৌচাষ কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবাদুল্লাহ আবজাল।
দেশের বিভিন্ন এলাকার মৌ-চাষিদের উৎপাদিত মধু বিক্রি ও প্রদর্শনের লক্ষ্যে মেলায় ২৮টি স্টল স্থান পেয়েছে। মেলা চলবে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ মেলা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৯
এসএমএকে/ওএইচ/