রোববার (২৭ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে খনি কম্পাউন্ডের ভেতরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হচ্ছে- ফুলবাড়ী উপজেলার বালিপাড়া গুচ্ছগ্রামের আকাশ ইসলাম (১৬) ও পার্বতীপুর উপজেলার হামিদপুর চৌগাছি গ্রামের দেবুড়া রায়ের ছেলে প্রশান্ত রায় (১৭)।
আহতদের মধ্যে তিন জনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন- বিরামপুর উপজেলার চরকাই গ্রামের চন্ডি রায়, আসাদুল ও আলমগীর হোসেন। আহতদের বিরামপুর ও ফুলবাড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, খনির চীনা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এক্সএমসি-সিএমসি কনসোর্টিয়ামের অধীনে জেনারেটর হাউজ নির্মাণের কাজ চলছিল। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এক্সএমসি-সিএমসি জেনারেটর হাউজটির নির্মাণের জন্য সাব কন্ট্রাক্ট দেয় ফুলবাড়ী পজেলার মেসার্স আমীন ট্রেডার্সের সত্ত্বাধিকারী রুহুল আমীন সরকারকে।
রোববার ছাদ ঢালাইয়ের কাজ চলছিল। পার্শ্ববর্তী বিরামপুর উপজেলার ৭০ জন শ্রমিক ঢালাইয়ের কাজে নিয়োজিত ছিল। ভবনের এক তৃতীয়াংশ ঢালাই হওয়ার পর পরই বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আকষ্মিকভাবে এর পুরো অংশ ধসে পড়ে। এসময় প্রশান্ত রায় ও আকাশসহ ছাদের উপরে ও নিচে কর্মরত ৯ শ্রমিক চাপা পড়ে। দুর্ঘটনার পর পরই পার্বতীপুর ও ফুলবাড়ী উপজেলার ফায়ার স্টেশনের দু’টি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে।
পেট্রোবাংলার মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মোস্তফা কামাল বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, প্রশান্ত রায় ও আকাশ ছাদের নিচে চাপা পড়ে নিহত হয়। তাদের উদ্ধার তৎপরতা চলমান রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৯/আপডেট: ২১৩৮ ঘণ্টা
আরএ