শনিবার (২৬ অক্টোবর) গভীর রাতে তাকে আটক করে রোববার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এসময় আলামত হিসেবে চারটি ককটেল ও দু’টি পেট্রোল বোমা পাঠানো হয়।
আটক সুলতান মাহমুদ উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের চরগড়গড়ি আলহাজমোড় এলাকার মৃত জফির উদ্দিনের ছেলে। তিনি সাহাপুর ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা বলে জানা গেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সাহাপুরের চরগড়গড়ি আলহাজমোড় কাঁচা বাজারের ইজারদারী নিয়ে একই এলাকার কামাল হোসেনের সঙ্গে সন্টুর বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধের জেরে সন্টু ও কামাল গংদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। এতে সন্টু বাদী হয়ে পাবনা আদালতে কামাল গংদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি সমাধানের জন্য ঈশ্বরদী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মমতাজ মহলের ওপর দায়িত্ব পড়ে। তদন্তে সহকারী কমিশনার (ভূমি) কালক্ষেপন করছেন বলে অভিযোগ করে সন্টু সংবাদপত্রে সরকারি এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করালে সহকারী কমিশনার ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। এরপর গতকাল শনিবার গভীর রাতে তাকে আটক করে পুলিশ।
সন্টুর পরিবারের সদস্যরা জানায়, হাটের ইজারদারী নিয়ে পুলিশ ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিরোধী পক্ষ কামাল গংদের হয়ে কাজ করছেন। তারই প্রমাণ স্বরূপ সন্টুকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও থানা পুলিশের গাড়িতে বোমা হামলার পরিকল্পনাকারী হিসেবে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। তারা আরও জানায়, তাদের বাড়ি থেকে ককটেল কিংবা পেপসির বোতলের পেট্রোল বোমা উদ্ধারের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
ঈশ্বরদী থানার উপ-পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অসিত কুমার বসাক বাংলানিউজকে জানান, সরকারি কর্মকর্তাদের গাড়িতে বোমা হামলার পরিকল্পনা করার কারণে সুলতান মাহমুদ সন্টুকে মোবাইল ফোন ট্যাকিংয়ের মাধ্যমে শনিবার (২৬ অক্টোবর) রাতে পাবনা শহরের কালাচাঁদপাড়া থেকে আটক করা হয়।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দিন ফারুকী বাংলানিউজকে জানান, ঈশ্বরদীতে প্রশাসনের গাড়িতে বোমা হামলার পরিকল্পনার অপরাধে সাহাপুর ইউনিয়নের চরগড়গড়ির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে চারটি ককটেল ও দু’টি পেট্রোল বোমা জব্দ করা হয়। সন্টুর বিরুদ্ধে একটি হত্যা, প্রতারণা ও মারামারিসহ পাঁচটি মামলা রয়েছে। বিস্ফোরণ আইনে নতুন মামলা নথিভুক্ত করে রোববার বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে পাবনা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৯
আরএ