শনিবার (৯ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে কোস্টাল জার্নালিজম নেটওয়ার্কের উদ্যোগে ও চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের সার্বিক সহযোগিতায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আগামী ১২ নভেম্বর বেসরকারিভাবে ঢাকাসহ উপকূলের ১৬ জেলার ৫৫টি স্থানে তৃতীয়বারের মত উপকূল দিবস পালিত হবে।
আলোচকরা জানান, ১৯৭০ সালের এদিনে দেশের উপকূল দিয়ে বয়ে যায় ঘূর্ণিঝড় 'ভোলা সাইক্লোন'। এ ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় দেশের দক্ষিণ উপকূল। বহু মানুষ এতে প্রাণ হারান। গোটা বিশ্বকেই কাঁপিয়ে দিয়েছিল এ ঘূর্ণিঝড়।
সভায় জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড়টি সিম্পসন স্কেলে ক্যাটারি তিন মাত্রার ছিল। ১৯৭০ সালের ৮ নভেম্বর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট হয়ে ক্রমশ শক্তিশালী হতে হতে উত্তরে এগিয়ে ১১ নভেম্বর রাতে উপকূলে আঘাত হানে এটি।
আলোচকরা জানান, ২০১৮ সালের মে মাসে জাতিসংঘের বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) বিশ্বের শীর্ষ পাঁচটি ভয়াবহ প্রাণঘাতী প্রাকৃতিক দুর্যোগের তালিকা প্রকাশ করে। ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বরের ঘূর্ণিঝড়কে এতে পৃথিবীর সর্বকালের ইতিহাসে ভয়ঙ্করতম প্রাণঘাতী ঝড় হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
বেসরকারি সংস্থা ডরপ'র প্রতিষ্ঠাতা এম এইচ নোমানের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য মেজর (অব.) আবদুল মান্নান।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন উপকূল দিবস বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী রফিকুল ইসলাম মন্টু।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন- চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের চেয়ারপারসন মোহাম্মদ ইব্রাহীম, সংসদ সদস্য মেজর (অব.) আব্দুল মান্নান, এম এ শাহাজাদা, সংবিধান বিশেষজ্ঞ ইফতেদার আহমেদ, পানি বিশেষজ্ঞ ইনামুল হক, প্রফেসর আবদুর লতিফ মাসুম, ইমেরিটাস প্রফেসর ও পানিসম্পদ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ আইনুন নিশাত প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৯
পিএস/এবি/আরবি/