মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় শেখ রাসেল স্কয়ার চত্বরে এ কর্মসূচি পালিত হয়। পরে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
মানববন্ধনে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাবেক পৌর মেয়র মল্লিক মো. আইউব বলেন, 'মজিবুল হক একজন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আজ রাজাকারের তালিকায় তার নাম দেওয়া হয়েছে। তিনি যদি রাজাকার হন তাহলে আমরা পাথরঘাটার সবাই রাজাকার। আমরা এ তালিকার প্রতিবাদ জানাই। এসময় উপস্থিত অর্ধশত মুক্তিযোদ্ধা ও কয়েকশ’ লোক একাত্মতা প্রকাশ করেন।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান, মোস্তাফিজুর রহমান, সাইদুল কবির ফারুক, পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মো. জাবির হোসেন, পৌর মেয়র আনোয়ার হোসেন আকন, কালমেঘা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আকন মো. সহিদ, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রিপন, মজিবুল হকের ছেলে রেজাউল হক শাহিন প্রমুখ।
মেয়র আনোয়ার হোসেন আকন তার বক্তব্যে বলেন, মজিবুল হকের নাম রাজাকারের তালিকায় আসায় অনেকেই বলেন, আপনাদের নাম কবে আসবে। তাই আমরাও আশঙ্কায় আছি কবে আমাদের নাম রাজাকারের তালিকায় আসে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই এবং দ্রুত নাম বাতিলের দাবি জানাই।
মানববন্ধনে অবস্থানরত মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান আক্ষেপ ও ক্ষোভের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের পতদ্যাগের দাবি জানিয়ে বলেন, মন্ত্রীসহ যারা এ তালিকায় প্রণয়নের সঙ্গে জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিসহ বিচার দাবি জানাচ্ছি। যদি মন্ত্রীকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা না হয় তাহলে আমরা মুক্তিযোদ্ধারা আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য থাকবো।
এদিকে মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগসহ অঙ্গসংগঠন প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেছে। এ বিষয় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. জাবির হোসেন বলেন, মজিবুল হকের নাম রাজাকারের তালিকায় আসার প্রতিবাদে আমরা প্রতিবাদ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছি।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী ১০ হাজার ৭৮৯ জন রাজাকারের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে। ওই তালিকায় মুক্তিযুদ্ধের সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি, পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মজিবুল হকের নাম রাজাকারের তালিকার ১ নম্বরে আসায় গোটা পাথরঘাটায় জনমনে ক্ষোভ বিরাজ করছে। যিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় একজন সংগঠক এবং জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত আওয়ামী লীগে নিরলসভাবে কাজ করেছেন তার নাম রাজাকারের তালিকায় এটা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেনা পাথরঘাটার মানুষ।
মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের ওই তালিকায় গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা মো. আমির হামজা, মো. খলিলুর রহমান ওরফে মানিক এবং অপর এক আওয়ামী লীগ নেতা মো. আমেজাদ হোসেনসহ ৮ জনের নাম রয়েছে।
** এখন কবর থেকে তুলে আমার স্বামীর বিচার করতে হবে!
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৯
আরএ