যদিও সময় যতো যাচ্ছে তালিকা থেকে ততো নতুন নতুন তথ্য আসছে। যা বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
এরইমধ্যে তালিকায় বঙ্গবন্ধুর বেয়াই মরহুম আব্দুল হাই সেরনিয়াবাতের নাম দেখে অবাক হয়েছেন তার উত্তরসূরিরা। সদ্য প্রকাশিত রাজাকারের তালিকার বরিশাল বিভাগের অংশে ২০ নম্বর পৃষ্ঠার ৫৮ নম্বর সিরিয়ালে নাম রয়েছে আবদুল হাই সেরনিয়াবাতের।
তিনি বঙ্গবন্ধুর বোন আমিনা বেগমের স্বামী সাবেক কৃষিমন্ত্রী শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের বড় ভাই।
এদিকে আব্দুল হাই সেরনিয়াবাতের স্বজনরা জানান, ১৯৭১ সালে বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন আব্দুল হাই সেরনিয়াবাত। সেসময় তার বয়স ৬০ এর ওপরে থাকলেও স্বপ্ন দেখতেন স্বাধীন দেশের। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তার বন্দুকটি মুক্তিযোদ্ধাদের দিয়ে দেন।
আব্দুল হাই সেরনিয়াবাতের ছেলে মুক্তিযোদ্ধা সামসুল ইসলাম (আমান সেরনিয়াবাত) বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের সেরনিয়াবাত পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যই মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। কিন্তু কীভাবে আমার বাবার নাম এই তালিকায় এলো! এটা কল্পনাও করতে পারছি না! যে ঘটনার নিন্দা জানানোর ভাষাও হারিয়ে ফেলেছি আমরা।
পরিবারের অন্য সদস্যরা বলছেন, যার ৪ সন্তান মুক্তিযোদ্ধা, তার নাম এ তালিকায় দেখে শুধু অবাকই নন, মর্মাহত ও ক্ষুব্ধ হয়েছেন সবাই। সরকারকে বিব্রত করতে কিংবা তালিকাটি প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য এমনটা করা হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখার আহ্বান তাদের।
আবদুল হাই সেরনিয়াবাত কোনোভাবেই মুক্তিযুদ্ধবিরোধী কাজে জড়িত ছিলেন না বলে জানিয়ে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এএমজি কবির ভুলু বলেন, তার নাম রাজাকারদের তালিকায় থাকাটা খুবই দুঃখজনক।
আর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ বরিশাল মহানগর ইউনিটের কমান্ডার মোকলেছুর রহমান বলেন, আমরা যে তালিকা দিয়েছিলাম, তা প্রকাশিত হয়নি।
মুক্তিযোদ্ধা এনায়েত হোসেন চৌধুরী বলেন, মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় থেকে রাজাকারের তালিকা চাওয়া হয়েছিল। তারপর প্রকৃত রাজাকারের নামের তালিকা পাঠানো হয়েছে মন্ত্রণালয়ে। তবে রাজাকারের তালিকায় বরিশালের যেসব মুক্তিযোদ্ধাদের নাম এসেছে তা পাঠানো রাজাকারের তালিকায় ছিল না।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৯
এমএস/এসএ