দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
অভিবাসী বাংলাদেশিদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তার বাণীতে বলেন, অভিবাসী কর্মীরা দেশের গর্ব।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় বিদ্যমান শ্রমবাজার সুসংহত ও নতুন নতুন শ্রমবাজার অনুসন্ধান অব্যাহত রাখবে বলে রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে প্রত্যাশা করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে জাতির পিতার ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করে যেতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
দিবসটি উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমি আশা করি, বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার জন্য প্রবাসীরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে জাতির পিতার ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে কাজ করবেন। অভিবাসীদের কল্যাণ ও অধিকার নিশ্চিত করতে সরকার বিশ্বময় সুষ্ঠু, নিরাপদ ও নিয়মিত অভিবাসন এবং অভিবাসন ব্যবস্থায় সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর।
এদিকে অভিবাসী দিবসে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক মন্ত্রণালয় বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করেছে। দিনটি উপলক্ষে সকাল ৮টায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসের বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) অভিবাসী দিবসে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সকাল ১০টায় দিনব্যাপী কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে ১৪টি দেশের ৪২ জন প্রবাসীকে সিআইপি সম্মাননা দেওয়া হবে। এছাড়া অনুষ্ঠানে বীমা পলিসি হস্তান্তরের মাধ্যমে প্রবাসী কর্মীর বীমা কার্যক্রম উদ্বোধন ও প্রবাসী কর্মীর সন্তানদের হাতে শিক্ষাবৃত্তি তুলে দিবেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি মুজিববর্ষ উপলক্ষে একটি বঙ্গবন্ধু কর্নার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থাকবে মেলায়। প্রকাশ করা হবে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে বিশেষ ক্রোড়পত্র।
এদিকে দিবসটি উপলক্ষে অভিবাসন সেবা সপ্তাহ ঘোষণা করেছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক। সেবা সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনে ১৮ ডিসেম্বর জাতীয়ভাবে উদযাপিত আন্তর্জাতিক অভিবাসন দিবস র্যালিসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের র্যালিতে অংশগ্রহণ করবে সংস্থাটি। ১৯ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয়ভাবে উদযাপিত অনুষ্ঠানে অভিবাসন বিষয়ে নানা সেবা দিয়ে ব্র্যাকের পক্ষ থেকে দু’টি স্টল স্থাপন করা হবে। এছাড়া ২০, ২১, ২২ ও ২৩ ডিসেম্বর দেশের ১০টি জেলার ৬০টি উপজেলায় নিরাপদ অভিবাসন এবং বিদেশ-ফেরতদের পুনঃএকত্রীকরণের ওপর সচেতনতামূলক গণনাটক, পট গান, ভিডিও শো প্রদর্শনীসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ২৪ ডিসেম্বর ‘নিরাপদ প্রত্যাবর্তন এবং টেকসই পুনঃএকত্রীকরণ’ এর ওপর আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
১৯৯০ সালে অভিবাসী শ্রমিক ও দেশে ফেলে আসা তাদের পরিবারের নিরাপত্তা রক্ষায় আন্তর্জাতিক সম্মেলন করে জাতিসংঘ। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৮ ডিসেম্বরকে লক্ষ্য করে মাইগ্রেন্ট রাইটস ইন্টারন্যাশনাল, ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন অন মাইগ্রেন্টস রাইটসসহ বিশ্বের বিভিন্ন সংগঠন অভিবাসীদের স্বার্থ রক্ষায় বৈশ্বিকভাবে প্রচারণা চালায়। পরে ২০০০ সালের ৪ ডিসেম্বর বিশ্বব্যাপী ১৮ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয় জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৫ ঘন্টা, ডিসেস্বর ১৮,২০১৯
জিসিজি/এবি