সৈয়দপুর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার একরামুল হক বলেন, আমরা খোঁজ নিয়ে দেখলাম সৈয়দপুরে প্রকৃত রাজাকারের নাম তালিকাভুক্ত হয়েছে, তবে তিন জন চিহ্নিত রাজাকারের নাম তালিকায় না দেখে বিষ্মিত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সন্তানেরা।
মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে গত ১৫ ডিসেম্বর প্রকাশিত তালিকায় নীলফামারী জেলায় এক হাজার ৩২৩ জন রাজাকারের নাম রয়েছে।
একরামুল হক আরও বলেছেন, আমরা ইতোপূর্বে যাচাই বাছাই করে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কমিশনে ( জামুকা) ৭৫ জন রাজাকারের নাম পাঠিয়েছিলাম। ওই তালিকার শীর্ষে রয়েছে ইজহার আহমেদ, মওলানা মতিন হাশমী, ইসমাইল মাছুয়া, ময়েজ ঠিকাদার, রোস্তম গুন্ডা, ওয়াশিমুল হকের নাম। সব মিলিয়ে তালিকায় যে ৬০৫ জনের নাম রয়েছে এরা নিশ্চিত রাজাকার। এ নিয়ে কোনো বিতর্ক আছে বলে মনে করি না।
মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংগঠন প্রজন্ম '৭১ সৈয়দপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহসিনুল হকের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, তালিকায় রাজাকার নঈম খাঁন ওরফে নঈম গুন্ডা, পরিবহন নেতা তৌকির আহমেদ কেনেডি ও পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর সুলতান খান ঢেনুর নাম নেই। আশাকরি তালিকা সংশোধন করে এ নামগুলো আন্তর্ভুক্ত করা হবে।
প্রজম্ম '৭১’র সভাপতি এ এ মঞ্জুর হোসেন সৈয়দপুরের বাদ পড়া রাজাকারের নাম অন্তর্ভুক্ত করে তালিকা প্রকাশের দাবি জানান।
মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসে সৈয়দপুরের সাড়ে চার হাজার বাঙালিকে নির্মমভাবে হত্যা করে পাকিস্তানিবাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকাররা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৯
আরএ