শেলু আকন্দকে দেশীয় অস্ত্রসহ লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে দু’পা ভেঙে দিয়েছেন ছাত্রলীগ নেতা সন্ত্রাসী রকিব খানের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা।
শেলু আকন্দ দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকার জামালপুর জেলা ও স্থানীয় পল্লীকণ্ঠ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার।
বুধবার (১ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ১১টায় শহরের দেওয়ানপাড়া এলাকায় পুরাতন এসডিওর বাড়ির পেছনে শহর বাইপাস রোডে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত শেলু আকন্দকে স্বজন ও সাংবাদিকরা উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
হাসপাতালের বেডে শুয়ে আহত শেলু আকন্দ বলেন, আমি ডায়াবেটিসের রোগী। প্রতিদিন সকাল ও রাতে ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে শহর বাইপাস রোডে হাঁটাহাটি করি। বুধবার রাতে হেঁটে যাওয়ার সময় পৌর কাউন্সিলর রুনু খানের ছেলে জেলা ছাত্রলীগ নেতা রাকিব খান, তুষার খান, স্বজন খান ও তুহিন খানসহ ১০/১২ জন আমার ওপর হামলা চালায়। তারা লোহার জিআই পাইপ দিয়ে আমার দুই পায়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন। পেটানোর সময় তারা বলে ‘মামলার সাক্ষী হইছস না, সাক্ষী দিবি, তর সাক্ষীর হওয়ার স্বাদ মিটাইতাছি। ’ লোহার পাইপ দিয়ে পেটাতে পেটাতে আমার দু’পা ভেঙে দিয়েছে।
জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালেমুজ্জামান জানান, সাংবাদিকের ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
জামালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হাফিজ রায়হান সাদা ও সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান সাংবাদিক শেলু আকন্দের ওপর হামলার নির্দেশদাতা পৌর কাউন্সিলর রুনু খান ও হামলাকারী রকিব খানসহ হামলায় জড়িত সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
ছয় মাস আগে পেশাগত দায়িত্বপালনকালে দৈনিক কালের কন্ঠের সাংবাদিক মোস্তফা মনজুর ওপর হামলা করে বেধড়ক মারধর করেছিলেন কাউন্সিলর রুনু খান ও তার ছেলে রাকিব খানের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় জামালপুর থানায় মামলা দায়ের হয়েছিলো। ওই মামলার দু’ নম্বর সাক্ষী ছিলেন সাংবাদিক শেলু আকন্দ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৯
এএটি