শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) উপজেলার শোলক ইউনিয়নের দত্তেশ্বর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এদিন ওই গ্রামের দিনমজুর শহিদুল ইসলাম খানের স্ত্রী বকুলী বেগমের কাছ থেকে শিশুটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দত্তেশ্বর গ্রামের বকুলী বেগম প্রায় এক মাস আগে হঠাৎ করেই একটি শিশুকে লালন-পালন শুরু করে। অজ্ঞাত ওই নবজাতকটি কেনার জন্য বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন ভিড় জমাতে শুরু করে ওই নারীর বাড়িতে। পরে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে নবজাতকটি বিক্রির কথা চূড়ান্ত হয়। পুলিশ বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে।
বকুল বেগম বাংলানিউজকে জানান, বরিশালের একটি হাসপাতাল থেকে ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার মগরা গ্রামের মৃত শরিয়ত খানের ছেলে জামাল খানের কাছ থেকে শিশুটিতে দত্তক আনে তার ভগ্নিপতি ফারুক হোসেন। পরে ফারুক শিশুটি লালন-পালন করার জন্য দেয় তাকে। ফারুকের স্ত্রী বর্তমানে বিদেশে।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, ওই নবজাতকটিকে বকুলী বেগমের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে কিনতে চেয়েছিল একই এলাকার শাহিনুর বেগম।
উজিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল আহসান বাংলানিউজকে বলেন, ইতোমধ্যে শিশুটিকে উদ্ধার করে ওই এলাকার ইউপি সদস্যের জিম্মায় রাখা হয়েছে। শিশুটির প্রকৃত বাবা-মার খোঁজে আমাদের পক্ষ থেকে ব্যাপক তৎপরতা শুরু করা হয়েছে। প্রকৃত বাবা-মাকে পেলে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৯
এমএস/এসএ