একই ধারাবাহিকতায় শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই কুয়াশার চাদরে মোড়ানো রয়েছে রাজধানী শহর। এদিন ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, রোববার (২২ ডিসেম্বর) পর্যন্ত তাপমাত্রা কম থাকতে পারে। এরপর থেকে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়ায় তুলনামূলক ঠাণ্ডা কমবে। তবে শীতের এই ধারাবাহিকতা জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত থাকবে। অর্থাৎ ওই সময় পর্যন্ত শীত পড়বে এবার।
শৈত্যপ্রবাহের ব্যাপরে তিনি বলেন, আসলে এখন শৈত্যপ্রবাহ নেই। কারণ তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি কিংবা এর নিচে হলে শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। এখন সেটি নেই।
এদিকে সকাল থেকেই শীত উপেক্ষা করে কর্মস্থলে ছুটতে দেখা গেছে রাজধানীর সাধারণ মানুষকে। আরাফাত নামে এক ব্যক্তি বাংলানিউজকে বলেন, আসলে শীতের সকালে কর্মস্থলে যাওয়া খুব কষ্টকর। কারণ ঘুম থেকেই উঠতে ইচ্ছে হয় না। তবে একটা সুবিধা হচ্ছে শীতের সকালে রাস্তায় জ্যাম তুলনামূলক কম থাকে।
এছাড়া তীব্র শীতে বেশি দুর্ভোগে রয়েছে কোনোমতে স্টেশনে কিংবা পথের ধারে যাদের রাত কাটে, সেইসব ছিন্নমূল মানুষ। পাতলা চাদর কিংবা কম্বল দিয়েই রাত কাটাতে হচ্ছে তাদের। আবার একটি চাদর দিয়েই কয়েকজন মিলে শীত নিবারণের চেষ্টা তাদের।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৯
এসএ/