জ্যাকেট, সোয়েটার, মাফলার, হাত ও পা মোজা, মাথার টুপি, কানের ব্যান্ড কিনছেন ক্রেতারা। তবে ক্রেতাদের কাছে উলের বোনা সোয়েটার, মাফলার এবং টুপির চাহিদা বেশ ভালো।
ক্রেতাদের অভিযোগ শীতের কাপড়ের দাম বেড়ে গেছে। আর বিক্রেতারা বলছেন, হঠাৎ করে শীত বেড়ে যাওয়ায় কাপড়ের চাহিদাও বেড়ে গেছে। কাপড়ের ঘাটতি হওয়ায় বেশি দামে কিনে বেচতেও হচ্ছে একটু বেশি দামে।
পাইকারি ক্রেতারা রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত ছাড়াও গুলিস্তান ও আশপাশের এলাকা থেকে এসেছেন খুচরা বাজার তথা ফুটপাতে কেনাকাটা করতে। হাজারো মানুষের আগমনে জমে উঠেছে এ এলাকার বাজার।
গুলিস্তান মাজার এলাকায় ফুটপাতে বাচ্চাদের সোয়েটার-জ্যাকেট বিক্রি করছেন জিতু। তার দোকানে দেখা গেছে ক্রেতাদের ভিড়। জিতু বলেন, গত দু’তিনদিন থেকে বেচাকেনা বেড়ে গেছে। আগে কাপড় নিয়ে সারাদিন বসে থাকলেও গত কয়েক দিনে মালামালও পাওয়া যাচ্ছে না।
তার অভিযোগ, নিয়মিত যে দোকান থেকে পাইকারি পণ্য কেনেন সেখানে সঙ্কট দেখা দিয়েছে। শীতের কারণে পণ্য পাওয়া যাচ্ছে না। দামও একটু বেড়ে গেছে।
তার দোকানে নিজের এক বছরের ছেলের সোয়েটার কেনেন বাসের স্টাফ মানিকনগরের মোশাররফ। তিনি বলেন, গুলিস্তানে দাম একটু কম, সে কারণে এখানে আসা। এবার শীত একটু বেড়ে গেছে, সেজন্য মোটা কাপড়ের সোয়েটার কিনতে হচ্ছে।
কয়েকটি দোকান ঘুরে দেখা গেছে, সোয়েটার ২০০-৪০০ টাকা, মাফলার ১০০-১৫০ টাকা, টুপি ১০০ টাকা, হাত ও পা মোজা ৩০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
শীতের জড়তার মধ্যে ফুটপাতের দোকানদারেরা হাঁকডাক দিয়ে ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছিলেন। আর তাদের ডাকে ক্রেতাদের সাড়া পড়ছে বেশ ভালো।
গুলিস্তানে ঢাকা ট্রেড সেন্টারের পাশে টুপি, মোজা, মাফলার বিক্রেতা আল-আমিনের দোকানেও জমে উঠেছে বেচাকেনা। তিনি জানান, দু’দিন থেকে শীত বেড়েছে। বেচাকেনাও বেড়েছে।
আল-আমিনের দোকানে মাথার টুপি কিনছিলেন রাসেল ও তার বন্ধু। দামাদামি করে ৮০ টাকায় উলের বোনা একটি টুপি কেনেন তারা।
ফুটপাতের পাশাপাশি পাইকারি দোকানগুলোতেও বেশ জমে উঠেছে শীতের কাপড়ের বেচাকেনা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৯
এমআইএইচ/জেডএস