ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঁচদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর শনিবার (২১ নভেম্বর) ভোরে রুমা মারা যান। এ ঘটনার পর দুপুরে স্বামী বিপ্লব মিয়াকে আটক করে পুলিশ।
মৃত খাদিজা আক্তার রুমা নরসিংদী সদর উপজেলার শিলমান্দী গ্রামের কাজল মিয়ার মেয়ে।
পুলিশ জানায়, সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে যৌতুকের টাকার জন্য গৃহবধূ খাদিজা আক্তার রুমার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন স্বামী বিপ্লব মিয়া। আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা খাদিজাকে ঢামেক হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পাঁচদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে শনিবার ভোরে তিনি মারা যান।
মৃত খাদিজার বাবা কাজল মিয়া বাংলানিউজকে জানান, প্রায় দেড় বছর আগে মেয়ে খাদিজাকে বিপ্লবের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়। তাদের একটি সাত মাসের মেয়ে রয়েছে। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের তিন লাখ টাকার জন্য বিপ্লব প্রায় সময় খাদিজার ওপর নির্যাতন করতেন। এক পর্যায়ে টাকা দিতে না পারায় খাদিজাকে হত্যার উদ্দেশে পূর্বপরিকল্পিতভাবে শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় বিপ্লব।
মাধবদী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) দিদারুল আলম বাংলানিউজকে জানান, মৃত গৃহবধূর বাবা কাজল মিয়া বাদী হয়ে মাধবদী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় স্বামী বিপ্লবকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৯
এনটি