রোববার (২২ ডিসেম্বর) বেলা ১২টায় আর্মি স্টেডিয়ামে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে বনানী কবরস্থানে স্ত্রীর পাশেই শেষ ঠিকানা হবে স্যার ফজলে হাসান আবেদের।
মরহুমের ছেলে সামারান আবেদ হাসানের বরাত দিয়ে তার চাচাতো ভাই ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন বাংলানিউজকে বলেন, হবিগঞ্জের অনেকেই মরদেহ এলাকায় নিয়ে যাওয়ার দাবি করছিলেন। কিন্তু স্ত্রীর কবরের পাশে যেন দাফন করা হয়, এটা ছিল ফজলে হাসান আবেদের শেষ ইচ্ছে। যে কারণে মরদেহ জন্মস্থানে নেওয়া হচ্ছে না। এছাড়া দেশ-বিদেশের হাজারো মানুষ আসছেন। ঢাকা-থেকে হবিগঞ্জে নিয়ে গেলে অনেকেই শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন না। সেজন্য ঢাকাতে রাখা হচ্ছে মরদেহ।
তিনি আরও বলেন, নিজ এলাকার প্রান্তিক মানুষের উন্নয়নে কর্মপরিকল্পনা ছিল তার। নিজে সভাপতি হয়ে ‘হাসান মঞ্জিল’ নামক একটি ট্রাস্টও গঠন করেছিলেন। যার সেক্রেটারি ছিলাম আমি। ভাইয়ের মহতী উদ্যোগগুলো বাস্তবায়নে আমরা কাজ করে যাব।
যুদ্ধাহত মক্তিযোদ্ধা বয়োবৃদ্ধ শেখ মো. নমীর আলী বলেন, ‘আবেদ ভাই ছিলেন এলাকাবাসীর প্রাণের মানুষ, দলমত নির্বিশেষে সবাই তাকে ভালবাসতেন। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে একাধিক গুলি লেগেছিল আমার শরীরে। এখনও একটি গুলি ভেতরে রয়ে গেছে। অন্য কেউ খবর না নিলেও তিনি আসলেই আমার শারীরিক অবস্থা জানতেন। আমি অসুস্থ মানুষ, ঢাকায় দেখতে যেতে পারবো না। এরকম আরো অনেকেই তাকে এক নজরে দেখতে ইচ্ছুক। মরদেহ কিছু সময়ের জন্য হলেও এখানে আনা হলে এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি পূরণ হতো।
বানিয়াচংয়ের বাসিন্দা ও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আব্দুল মতিলব বলেন, স্যার ফজলে হাসান আবেদ ছিলেন বানিয়াচংয়ের গর্ব। এলাকার নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের জন্য তিনি ছিলেন প্রাণের মানুষ। জীবদ্দশায় অনেকে সাক্ষাতের সুযোগ পায়নি। একবারের জন্য মরদেহটি জন্মস্থানে আনলে প্রিয়জনকে দেখার সুযোগ হতো সাধারণ মানুষের।
একই দাবি জানান বানিয়াচংয়ের বাসিন্দা ব্যবসায়ী শাহজাহান মিয়া, এমদাদুল হাসান শাহীন, তরুণ চিকিৎসক ডা. মঈনুল হাসান শাকীল, সাংবাদিক শিব্বির আহমেদ আরজুসহ আরও অনেকেই।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫২ ঘণ্টা, ডিসম্বের ২১, ২০১৯
এনটি