শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বাংলানিউজের সম্মেলন কক্ষে ‘ক্লিন সিটি গ্রিন সিটি’ শিরোনামে এ সংলাপে আয়োজিত হয়। বাংলনিউজ সম্পাদক জুয়েল মাজহারের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন দেশের অন্যতম শীর্ষ জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক এবং নিউজ টুয়েন্টিফোর ও রেডিও ক্যাপিটালে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নঈম নিজাম, দৈনিক কালের কণ্ঠের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও কথা সাহিত্যিক মোস্তফা কামাল, নিউজটোয়েন্টিফোর টিভির হেড অব নিউজ রাহুল রাহা, বাংলানিউজের হেড অব নিউজ আহমেদ জুয়েল, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট তপন চক্রবর্তী, চিফ অব করেসপন্ডেন্টস তৌহিদুর রহমানসহ অন্যান্যরা।
এসময় মেয়র নাছির উদ্দীন বলেন, চট্টগ্রাম শহরকে নান্দনিক করতে কাজ করে যাচ্ছি। দায়িত্ব নেওয়ার পরপরেই তিনটি সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব পালন করেছি। পরিচ্ছন্ন রাস্তাঘাট, নালা-নর্দমা নির্মাণ ও সংস্কার ছাড়াও সড়কবাতি বসানো হয়েছে। সব মিলিয়ে নগরবাসীকে একটি নান্দনিক শহর উপহার দিতে কাজ করছি আমরা। নির্বাচনের আগে একটি প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে সেভাবেই পরিকল্পনা করে নির্বাচনী ইশতেহার দিয়েছিলাম। তখন মাঠের বাইরে ছিলাম, নির্বাচনে জয়ের পর মাঠের ভেতরে এসেছি। সমস্যাগুলোর সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত হয়েছি এবং সেগুলো সমাধানে কাজ করেছি। যেখানে গেলে সমাধান হবে বলে মনে হয়েছে সেখানেই গিয়েছি। আমাদের যেসব প্রকল্প রয়েছে সেগুলো বাস্তবায়ন হলে বন্দরনগরীকে নান্দনিক শহর হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে। এর পাশাপাশি শুধু ক্লিন ও গ্রিন নয় বরং চট্টগ্রামকে নিরাপদ ও বাসযোগ্য শহর হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছি আমরা।
তবে এমন লক্ষ্য বাস্তবায়নে সেবা দানকারী সংস্থাগুলর মধ্যে সমন্বয়হীনতাকে সবচে বড় সমস্যা হিসেবে দেখছেন নাছির উদ্দীন। তিনি বলেন, ওয়াসার প্রকল্প বাস্তবায়নে শহরের রাস্তা ব্যাপকভাবে কাটতে হয়। বিটিসিএলও রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি করে। এতো খোঁড়াখুঁড়ি করলে রাস্তা কেমনে ভালো থাকে? নগর উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট যেসব সংস্থা রয়েছে সেগুলোর মধ্যে সমন্বয় করা প্রয়োজন এবং জরুরি। এটা করা গেলে অনেক সমস্যারই সমাধান হয়ে যাবে। শহরের গণপরিবহনে যেভাবে দিনদিন চাপ বাড়ছে, কিন্তু ওইভাবে আগে থেকে পরিকল্পনা নেওয়া হয়নি। সুষম নগর উন্নয়নের জন্য আমাদের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিতে হবে।
আরও পড়ুন>>নগর উন্নয়নে সব সংস্থার সমন্বয় জরুরি: মেয়র নাছির
>> অঙ্গীকার বাস্তবায়নে এগিয়ে চট্টগ্রামের মেয়র: নঈম নিজাম
>>চট্টগ্রাম শহরকে নান্দনিক করতে কাজ করছি: মেয়র নাছির
সংলাপে মেয়র নাছির উদ্দীনকে চট্টগ্রাম বাসীর কাছে ‘জনপ্রিয়’ মেয়র উল্লেখ করে নঈম নিজাম বলেন, আ জ ম নাছির একজন আপাদমস্তক রাজনীতিক। তিনি যে অবস্থান সৃষ্টি করেছেন, সেজন্য মানুষের প্রত্যাশা বেশি। সেক্ষেত্রে আ জ ম নাছির সফল। এখন রাজনীতিতে টেন্ডারবাজিসহ নানা কিছুর দেখা মিলে। নাছির সেক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। তিনি জনগণকে দেওয়া রাজনৈতিক অঙ্গীকার বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতি পূরণ করেন।
অন্যদিকে শহরের কিছু সমস্যার দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে নিউজ টুয়েন্টিফোরের হেড অব নিউজ রাহুল রাহা বলেন, আমার সন্তানেরা দেশের বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছে, কিন্তু চট্টগ্রাম যায়নি। কারণ এখানে যেসব পর্যটন আকর্ষণীয় কেন্দ্র রয়েছে যেমন ফয়েজ লেক বা অন্যান্য যেগুলো আছে সেগুলো আগের মত নেই। এগুলোর পরিচর্যা সেভাবে করা হয়নি। নগরীর পর্যটন খাত বিকাশে আরও কাজ করা দরকার।
এসময় মেয়র এ বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
এর আগে স্বাগত বক্তব্যে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমের সম্পাদক জুয়েল মাজহার বলেন, এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ১৫ বছর এবং মোহাম্মদ মঞ্জুর আলমের ৫ বছর; দুই জনের দায়িত্ব পালনের ২০ বছরে চসিক প্রকল্প পেয়েছিল দুই হাজার ২৪৩ কোটি টাকা। অন্যদিকে মেয়র নাছির তার প্রায় সাড়ে চার বছরেই সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে। অনুমোদের অপেক্ষায় আছে আরও প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার প্রকল্প। তিনি ইতোমধ্যে নগরবাসীর মধ্যে নিজেকে স্বপ্নদ্রষ্টা মেয়র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন। আমরা আশা রাখি চট্টগ্রামকে এক তিলোত্তমা শহরে পরিণত করবেন তিনি।
**চট্টগ্রাম হবে বিশ্বমানের আধুনিক নগর: আ জ ম নাছির
**৪১ হাজার পরিবারের জন্য হেলথ কার্ড আনছে চসিক
**রাত ১টা পর্যন্ত কাজ করি: মেয়র নাছির
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৯
এসএইচএস/এসএইচ