তিনি বলেছেন, মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ আশ্রয় দিয়েছিল। এখন তারা নানা সমস্যার সৃষ্টি করছে।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বাংলাদেশ সফররত বিদেশি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
ড. মোমেন বলেন, আপনারা দেশে ফিরে আপনাদের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানাবেন বলে আমরা আমরা আশা রাখি। কারণ এখানে বিনিয়োগের বড় বাজার সৃষ্টি হয়েছে। সরকার ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করেছে। সেখানে সহজেই বিনিয়োগ করা সম্ভব। এখানে বিনিয়োগ করার অর্থ লাভে পরিণত করা দক্ষিণ-এশিয়ার যেকোনো দেশের চেয়ে সহজ।
তিনি বলেন, একটা সময় বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অভিশাপ ছিল দারিদ্র্য। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা দরিদ্রতার হার কমিয়ে এনেছি। কিন্তু এতে আমরা সন্তুষ্ট নই। আমাদের আরো অনেক পথ যেতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন বড় কোম্পানি এদেশে বিনিয়োগ শুরু করেছে৷ আরো অনেকে আগ্রহী৷ বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য সব খাত সবার জন্য উন্মুক্ত৷
অনুষ্ঠানে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা তাদের সফরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান৷
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বহিঃপ্রচার অনুবিভাগের চলমান জনকূটনীতি কার্যক্রমের অাওতায় 'ভিজিট বাংলাদেশ' কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ২০ দেশের ৩৬ জন স্বনামধন্য লেখক, সাহিত্যিক, ইতিহাসবিদ, কূটনীতিক ও সাংবাদিক গত ১৪ ডিসেম্বর থেকে ২১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সফর করেন৷
এ সফরে তারা ঢাকার বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, জাতীয় জাদুঘর ও জাতীয় সংসদ ভবন পরিদর্শন করেন৷ এর পাশাপাশি তারা বাগেরহাটের ষাট গম্বুজ মসজিদ এবং সুন্দরবনের কটকা ও কচিখালী এলাকা পরিদর্শন করেন৷ এছাড়া দলটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে৷
মুজিববর্ষ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর জীবন, অাদর্শ ও অবিস্মরণীয় অবদান সম্পর্কে বহির্বিশ্বে সচেতনতা সৃষ্টি করা এ কর্মসূচির মূল্য লক্ষ্য ছিল বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ সময়: ২২০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৯
ডিএন/এমএ