ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

দ্বিতীয় দিনের অনশনে চাকরিতে ৩৫ প্রত্যাশীরা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৯
দ্বিতীয় দিনের অনশনে চাকরিতে ৩৫ প্রত্যাশীরা

ঢাকা: সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে দ্বিতীয়দিনের মতো আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদ। 

এর আগে শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল থেকে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী জাতীয় প্রেসক্লাবের নামনে আন্দোলনকারীদের এ আমরণ অনশন শুরু হয়। তারা বলছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া হবে।


 
রোববার (২২ ডিসেম্বর) সকালে বাংলানিউজকে আন্দোলনকারীরা বলেন, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ করার দাবিতে ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদের ব্যানারে আন্দোলন চলছে। এ সময়ের মধ্যে সরকার এ দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছে। তবে তা বাস্তবায়ন করা হয়নি, যা খুবই দুঃখজনক।

তারা বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এখান থেকে পিছিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। এক্ষেত্রে শিক্ষিত তরুণ সমাজকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে। এজন্য সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করার বিষয়টি যুক্তিযুক্ত। সংসদ অধিবেশনেও বিষয়টি বহুবার উত্থাপন করা হয়েছে।  

‘‘২০১৮ সালে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির তিনবারের সুপারিশ সত্ত্বেও গত ২৫ এপ্রিল ‘চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫’ করার সিদ্ধান্ত প্রস্তাবটি কণ্ঠ ভোটে জাতীয় সংসদে নাকচ হয়ে যায়। এতে স্বাভাবিকভাবেই ৩৫ প্রত্যাশীরা হতাশ হয়েছে। ’’

শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা ৪১ তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে চাই। তাই আমরা মনে করি সামগ্রিকভাবে সৃষ্ট নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া বিবেচনায় সরকার যৌক্তিক এ দাবিটি মেনে নেবে।  

আন্দোলনরতদের একজন সঞ্জয় দাস বলেন, ২০১১ সালে কর্মদক্ষতা ও গড় আয়ু বৃদ্ধি বিবেচনায় চাকরি থেকে অবসরের বয়সসীমা ৫৭ থেকে ২ বছর বাড়িয়ে ৫৯ করা হয়। বর্তমান রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ তৎকালীন স্পিকারের দায়িত্বে থাকাকালে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করে ৩৫ করার প্রস্তাব উত্থাপন করেন।  

‘তারপর থেকেই মূলত ৩৫ আন্দোলনটি শুরু হয়। বিগত ৭ বছরে আন্দোলনকারীরা মানববন্ধন, সমাবেশ, অবস্থান কর্মসূচি, মশাল মিছিল, মোমবাতি প্রজ্জ্বলন, অনশনসহ অসংখ্য শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনের পাশাপাশি সরকারের উচ্চ পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের কাছে দাবির যৌক্তিকতা তুলে ধরে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। ’

জসিম উদ্দিন নামে অপর এক আন্দোলনকারী বলেন, বিশ্বের ১৬০টিরও বেশি দেশে চাকরিতে প্রবেশের বয়স ন্যূনতম ৩৫ বা এর চেয়ে বেশি। যেখানে দেশ ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড বা জনসংখ্যা তাত্ত্বিক সুবিধা কালের মধ্যে থেকেও ৩০ বছর অতিক্রান্ত হলেই উচ্চ শিক্ষিতরা কেন বয়সের জালে আটকে থেকে সরকারি/বেসরকারি সব ক্ষেত্রেই প্রতিযোগিতা করার  সুযোগ হারাবে? বয়সসীমা বৃদ্ধির বিষয়টি বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতিহারে রয়েছে। এরপরও তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৯
ইএআর/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।