এর আগে চলতি বছরের ১৯ ডিসেম্বর ‘ঠাঁই হবে কি প্রতিবন্ধী রাহেলার!’ শীর্ষক শিরোনামে একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর ডট কম।
স্থানীয় প্রভাবশালীরা অসহায় এ নারীর দখলে থাকা জমিটুকু নিজেদের দাবি করে ঘর নির্মাণে বাধাসহ উচ্ছেদ করে দিতে চায়।
প্রভাবশালীদের ভয়ে কেউ কোনো কথা বলতে না পারলেও, প্রতিবেশী কয়েকজন তোলেন প্রতিবাদী কন্ঠ। তবে, সেটা প্রকাশ্যে নয়। গত ১৭ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ‘Sohel Maruf Uno Bheramara’ ফেসবুক আইডিতে স্ট্যাটাস দেন তারা। একই সময় এ তথ্য দেন বাংলানিউজের কাছে। পাঠকের জন্য স্ট্যাটাসটি কিছু অংশ হুবুহু তুলে দেওয়া হলো- ‘মানবিক আবেদন, উনি ভেড়ামারা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামের সরকারপাড়ার বাসিন্দা হতদরিদ্র (বাক ও শ্রবণ) প্রতিবন্দ্বী বয়স্ক বিধবা রাহেলা খাতুন (৬৫)। এলাকার সবাই তাকে কালা বলে চেনে। তার নিজের কোনো জমিজমা নেই ৫০-৬০ বছর ২-৩ শতক খাস জমিতে বসবাস করছেন, সেই জমির বৈধ কোনো মালিক নেই। এক ছেলেকে নিয়ে বসবাস করে ……… দয়া অসহায় একটু বিবেচনা করে দেখবেন এই প্রতিবন্দ্বী নারীর জন্য কিছু করা যায়। ’
পরদিন বিষয়টা বিস্তারিত জেনে সত্যতা পাওয়া গেলে ১৯ ডিসেম্বর ‘ঠাঁই হবে কি প্রতিবন্ধী রাহেলার!’ শীর্ষক শিরোনামে একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর ডটকম।
তাৎক্ষণিক ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশ্বাস দেন যে, ‘স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান, মেম্বার ও স্থানীয় ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে আমরা শনিবার (২১ ডিসেম্বর) ওই জমি মাপ নেবো ও প্রতিবন্ধী রাহেলা খাতুনের জমির ন্যায্যহিস্যা নিশ্চিত করব। ’
পরে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখে উপজেলা ইউএনও শনিবার দুপুরে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বুলবুল হাসান পিপুল, বাহাদুরপুর ইউপি মেম্বার নূরু ও নাজিরসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে রাহেলার দখল করা তিন শতাংশ জমি মাপজোগ করে বুঝিয়ে দেন।
উপজেলা ইউএনও সোহেল মারুফ বাংলানিউজকে বলেন, আমরা প্রতিবন্ধী রাহেলার বাবার সম্পত্তির অংশ হিসাবে তিন শতক জমি মাপজোগ করে বুঝিয়ে দিয়েছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৯
এএটি