তিনি বলেন, সারাদেশে গিয়ে আমরা মশা নিধন করতে পারবো না। উন্নত বিশ্ব মশা নিধনে কীটনাশক ব্যবহারে সচেতন হচ্ছে।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলনকক্ষে মশা ও ক্ষতিকর কীট-পতঙ্গের বিস্তার রোধে সমন্বিত ব্যবস্থাপনা বিষয়ক বৈঠকে এ কথা জানানো হয়।
এসময় অনুষ্ঠানে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধি, কুমিল্লা সিটি মেয়র নুরুল হক সাক্কু, সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, করপোরেশন অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান এ কে এম আজাদ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, পরিবেশ অধিদপ্তর, বিভিন্ন কীটতত্ত্ববিদসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, রূপকল্প ২০২১, ২০৪১, এসডিজি অর্জন, মশা ও অন্য ক্ষতিকর কীটমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলতে চাই। এজন্য ডেঙ্গু নিধনে পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখা, মশাসহ অন্য ক্ষতিকর কীটপতঙ্গের বিস্তার নিয়ন্ত্রণ (বায়োলজিক্যাল কন্ট্রোল), কার্যকর ও যথাসম্ভব পরিবেশবান্ধব কীটনাশক প্রয়োগ, নাগরিকদের সচেতনতা বৃদ্ধি ও বছরজুড়ে ধারাবাহিকভাবে প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করার পরামর্শ দেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের মূল উদ্দেশ্য হলো, এ বছরের মতো আগামী বছর যাতে ডেঙ্গুর প্রভাব না থাকে, সে বিষয়ে কীভাবে কাজ করতে পারি। এজন্য আজকের সভায় ম্যানেজমেন্ট ডেভেলপমেন্ট করার জন্য একটি কমিটি করতে যাচ্ছি। সে লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিবকে আহ্বায়ক করে এর সঙ্গে ঢাকা সিটি করপোরেশন, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ববিদ, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কমিটি করা হবে। তারা বসে একটি ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে সিস্টেম কীভাবে উন্নত করা যায়, কী করে সারা বাংলাদেশকে মশক নিধন বা ক্ষতিকর কীট-পতঙ্গ থেকে রক্ষা করা হয়, এজন্য একটি ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার জন্য পরামর্শ দেবে। কমিটি আগামী এক মাসের ভেতরে একটি প্রতিবেদন দেবে।
তিনি বলেন, আজ সভায়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ইন্টিগ্রেড ভেক্টর ম্যানেজমেন্ট কর্মকৌশল বাস্তবায়নের রুপরেখা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। একইসঙ্গে পরিবেশগত ব্যবস্থাপনা, রাসায়নিক নিয়ন্ত্রণ, বায়োলজিক্যাল নিয়ন্ত্রণ, কীটনাশকের যথাযথ নিরাপদ ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যক্তিগত ও আবাসস্থল সুরক্ষার কৌশল এবং কর্মপন্থা নেওয়া হয়। এছাড়া সামাজিক সচেতনাতা বৃদ্ধির কর্মকৌশল নির্ধারণ করা হয়েছে।
সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর ভবন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় কতোটা পদক্ষেপ নিয়েছেন জানতে চাইলে তাজুল ইসলাম বলেন, প্রশ্নটি একেবারেই যথার্থ। আমরা সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজেদের আঙ্গিকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য দায়বদ্ধতার আওতায় নিয়ে আসবো।
বক্তারা বলেন, দেশের বর্তমান বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ঢাকা মশক নিবারণী দপ্তরকে একটি অধিদপ্তরে উন্নীত করতে হবে। ডেঙ্গু বা এডিশ মশা নিধনে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার ব্যবস্থা করা, ভেক্টর কন্ট্রোল সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠানসমুহের মধ্যে সমন্বয় সাধন করতে হবে। এজন্য একটি অ্যাডভাইজারি বা কারিগরি কমিটি গঠন করতে হবে। জনবল বাড়ানোসহ প্রতিনিধিদের মাঠে নামাতে হবে। এ কাজগুলো সরাসরি মন্ত্রণালয়কে মনিটরিং করতে হবে। কীটনাশকের ক্ষেত্রে দেশে উৎপাদনের ব্যবস্থা করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৯
জিসিজি/আরবি/