রোববার (২২ ডিসেম্বর) সকালে তাদের আদালতের মাধ্যমে পাবনা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) ঈশ্বরদী উপজেলা থেকে তাদের আটক করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) ঈশ্বরদী- কুষ্টিয়া মহাসড়কের পাকশি লালনশাহ সেতুর টোল প্লাজার সামনে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সুপার সনি পরিবহনের সুপারভাইজার রোকনুজ্জামান (২৮) ও সহকারী নাসিম উদ্দিন (২২)। তাদের বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুরে।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) নিহত সুমনের স্ত্রী রুমা খাতুন বাদী হয়ে সুপার সনি পরিবহন বাসের চালক ও দুই সহকারীকে আসামি করে ঈশ্বরদী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দীন ফারুকী বাংলানিউজকে জানান, ওই ঘটনার পর তারা পলাতক ছিলেন। পরে পাকশি লালনশাহ সেতু টোল প্লাজার ভিডিও ফুটেজে গাড়ির নম্বর দেখে ওই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার পর তাদের আটক করা হয়। আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
সুমনের বাড়ি কুষ্টিয়ার ভেরামারা উপজেলায়। তিনি ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশি ইউনিয়নের ঝাউতলা এলাকায় শ্বশুরবাড়ির পাশে বাসা ভাড়া করে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে থাকতেন। তিনি পাকশি রূপপুর পাকার মোড়ে একটি খাবার হোটেলে শ্রমিকের কাজ করতেন।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ৮টার দিকে ঈশ্বরদী-কুষ্টিয়া মহাসড়কের পাকশির রূপপুর থেকে ভেড়ামারা যাওয়ার জন্য রওনা হন সুমন। তাড়াতাড়ি পৌঁছানোর জন্য ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মেহেরপুরের গাংনীগামী সুপার সনি পরিবহনের একটি বাসে ওঠেন তিনি। এ সময় বাসের চালকের সঙ্গে ভাড়া নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে লালন শাহ সেতুর টোল প্লাজা অতিক্রম করার সময় চলন্ত বাস থেকে তাকে ধাক্কা দিয়ে নামিয়ে দেওয়ার সময় ওই বাসেরই চাকায় পিষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হন সুমন। পরে পাকশির হাইওয়ে পুলিশের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে ঈশ্বরদী সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজে (রামেকে) পাঠানোর পথে সুমনের মৃত্যু হয়।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) নিজ বাড়ি কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার সাতবাড়িয়া গ্রামে সুমনকে দাফন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৯
আরএ