রোববার (২২ ডিসেম্বর) আশুলিয়ার পলাশবাড়ীর সাউথ ভিশন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে বিদ্যালয়ে এ আয়োজন করা হয়।
পিঠা উৎসবে গিয়ে দেখা গেছে, দিনব্যাপী এ পিঠা উৎসবে প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ২০০ শিক্ষার্থী ও ১৫ জন শিক্ষক অংশ নিয়েছেন।
'এখানে এই যে এদিকে', 'নিকুঞ্জ পিঠা বিতান', 'হিমাঙ্গ কুঞ্জ', 'পৌষ-পার্বন পিঠা কুটির', 'ষড়ঋতু পিঠাঘর', 'গ্রামবাংলার পিঠা হাট'সহ ৯টি পিঠার স্টল দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। পিঠার স্টলগুলোতে মোরগ পিঠা, পাটি সাপটা, সুজি পুলি নারকোল, দুধ পাটিসাপটা, ঝাল ভাপা, গোলাপ পিঠা, তাল মিঠা, বিস্কুট পিঠা, নারিকেল নারুভাপা, নকশিসহ নানা রকমের পিঠার পসরা সাজিয়ে বসেছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
পিঠা উৎসবটি সবার জন্য উন্মুক্ত হওয়ায় এলাকার সবাই এখানে পিঠা খেতে ও দেখতে ভিড় জমিয়েছে।
স্কুলটির বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক সাকিব বাংলানিউজকে বলেন, দেশের সৃজনশীল পাঠ্যক্রম, কোচিংমুখী প্রবণতা ও ইন্টারনেটের যুগে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে আগ্রহ হারাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। এ কারণে শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রতিষ্ঠানে ব্যতিক্রমী এ পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।
সাউথ ভিশন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. কামাল উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, বাংলার সংস্কৃতি, বাংলার ইতিহাস-ঐতিহ্য তুলে ধরার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে আমরা এ আয়োজনটি করেছি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠান হওয়ায় সমাজের মানুষের জন্য বাংলাদেশের যে দেশীয় সংস্কৃতি সেগুলোকে তুলে ধরা আমাদের দায়িত্ব। এ উৎসবটি সর্বস্তরের মানুষের জন্য উন্মুক্ত। অনেকেই সকাল থেকে পিঠার দোকানগুলোতে ভিড় জমাচ্ছেন। আমরা গত বছরেও এমন আয়োজন করেছিলাম আগামীতেও করবো৷
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর , ২০১৯
আরএ