রোববার (২২ ডিসেম্বর) কারখানাটির অগ্নিকাণ্ডে নিহত শ্রমিকদের পরিবারের হাতে ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দেওয়া হলে, ক্ষতিপূরণের অর্থ হাতে এ কথা বলেন তিনি।
দুপুরে গাজীপুর প্রেসক্লাব চত্বরে কারখানার হেড অব সেলস কর্মকর্তা শফিকুর রহমান নিহতদের পরিবারের সদস্যদের হাতে এ চেক তুলে দেন।
এ ঘটনায় মামলার বাদি নিহত রাশেদের পিতা কামাল হোসেন বলেন, তাদের গাফলতির কারণে আমার ছেলে মারা গেছে। আমি এর ন্যায় বিচার চাই। রাশেদের সন্তান তার বাবাকে খুঁজে বেড়ায়। সমাজের সবার কাছে দাবি, ন্যায়বিচার যেন পাই।
কারখানার হেড অব সেলস কর্মকর্তা শফিকুর রহমান বলেন, কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে নিহত ১০ জন শ্রমিকের প্রত্যেকের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে এক লাখ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কারখানার পক্ষ থেকে নিহতের প্রত্যেকের পরিবারকে প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। এ কারখানা যতদিন থাকবে ততদিন তাদের পরিবারকে এ টাকা দেওয়া হবে।
অগ্নিকাণ্ডে নিহত লিমনের পিতা আব্দুল হামিদ, নিহত ফরিদুলের চাচা তাজউদ্দীন, নিহত পারভেজের পিতা লাল মিয়া, নিহত সজলের ভাই উজ্জল, নিহত ইউসুফের পিতা আইয়ুব আলী, নিহত তরিকুলের পিতা সেলিম মিয়া, নিহত রাশেদের পিতা কামাল হোসেন, নিহত শামীমের পিতা মো. নজরুল, নিহত উত্তমের পিতা বীরবল চন্দ্র দাস ও নিহত ফয়সালের পিতা সাইফুল ইসলাম এ চেক গ্রহণ করেন।
১৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় গাজীপুর সদর উপজেলার কেশরিতা এলাকায় রুজা হাই-টেক লাক্সারি ফ্যান কারখানায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকাণ্ডে কারখানায় ১০ শ্রমিক নিহত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৯
আরএস/এবি