সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ শেষে এ স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
কৃষক নেতা বজলুর রশীদ ফিরোজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নিখিল দাস, বেলায়েত হোসেন, বাসদ নেতা জুলফিকার আলী, বিজ্ঞান আন্দোলন মঞ্চের সমন্বয়কারী ইমরান হাবিব রুমন, ছাত্রনেতা আল কাদেরী জয় প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা প্রতি ইউনিয়নে ক্রয়কেন্দ্র চালু করে খোদ কৃষকের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত দামে ধান ক্রয়, বর্গাচাষীদের কৃষি কার্ড প্রদান, ধান ক্রয়ে দুর্নীতি, দলীয়করণ বন্ধ, উৎপাদিত ফসলের কমপক্ষে ৩০ শতাংশ সরকারি উদ্যোগে ক্রয়, প্রতি ইউনিয়নে খাদ্য গুদাম নির্মাণের জন্য কমপক্ষে এক কোটি টাকা করে মোট পাঁচ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ, গ্রামীণ শ্রমজীবী ক্ষেমজুর, দিনমজুর, ভূমিহীন, গরিব চাষিদের জন্য গ্রামীণ রেশনিং ব্যবস্থা চালু, গ্রামাঞ্চলে দরিদ্র শীতার্ত মানুষের জন্য পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র সরবরাহের আহ্বান জানান।
মানববন্ধন, সমাবেশ এবং বিক্ষোভ মিছিল শেষে নিখিল দাস, জুলফিকার আলী, বেলায়েত হোসেন, প্রদীপ কুমারের সমন্নয়ে একটি প্রতিনিধি দল ঢাকা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেন।
কৃষি, কৃষক-ক্ষেতমজুর ও দেশ বাঁচাতে ৫ দফা দাবিগুলো, প্রতি ইউনিয়নে ক্রয় কেন্দ্র খুলে সরকার নির্ধারিত দামে খোদ কৃষকের কাছ থেকে উৎপাদিত আমন ধানের ৩০ শতাংশ ক্রয় করতে হবে। বর্গাচাষীদের কৃষি কার্ড প্রদান করতে হবে। ধান ক্রয়ে দুর্নীতি-স্বজনপ্রীতি-দলীয়করণ বন্ধ করতে হবে। প্রতি ইউনিয়নে একটি করে খাদ্য গুদাম নির্মাণের জন্য কমপক্ষে ১ কোটি টাকা করে বরাদ্দ করতে হবে। গ্রামীণ শ্রমজীবী ক্ষেতমজুর-ভূমিহীন, গরীব চাষীদের জন্য আর্মি রেটে গ্রামীণ রেশনিং চালু করতে হবে। গ্রামের দরিদ্র শীতার্ত জনগোষ্ঠীকে পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র প্রদান করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৯
আরকেআর/এএটি