সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, কূটনৈতিক স্বার্থ বিবেচনায় যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার। এ জন্য ফ্লোরিডায় একটি কনস্যুলেট জেনারেল স্থাপন প্রয়োজন।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের তিনটি কূটনৈতিক মিশন রয়েছে। এগুলো ওয়াশিংটন ডিসি, নিউইয়র্ক এবং লস এঞ্জেলেসে অবস্থিত।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বিশাল আয়তনের দেশ যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করা এবং সেখানে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের পর্যাপ্ত কনস্যুলার সেবা দেওয়া এই তিন মিশনের জন্য অত্যন্ত কঠিন ও সময়সাপেক্ষ। এতে করে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী স্বল্পতম সময়ে সর্বোত্তম সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না। এজন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই প্রস্তাব করেছে।
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক গুরুত্ব বিবেচনায় যুক্তরাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্য হলো ফ্লোরিডা। এখানে বর্তমানে ৪০ হাজারের বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি বসবাস করেন। ওয়াশিংটন ডিসি থেকে ফ্লোরিডার দূরত্ব প্রায় এক হাজার ৫০০ কিলোমিটার। এই বিশাল দূরত্ব অতিক্রম করে ফ্লোরিডা থেকে ওয়াশিংটন ডিসেতে কনস্যুলার সেবা গ্রহণ করা প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য যথেষ্ট সময় ও ব্যয়সাপেক্ষ।
সচিব বলেন, ফ্লোরিডাতে বিশ্বের ৮১টি দেশের কনস্যুলেট রয়েছে। যার মধ্যে ৬১টি কনস্যুলেটই মায়ামি শহরে অবস্থিত। এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্য ফ্লোরিডার মায়ামি শহরে বাংলাদেশের একটি কনস্যুলেট জেনারেল স্থাপন করা হলে, তা ফ্লোরিডাতে অবস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশিদের স্বার্থ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
ফ্লোরিডায় নতুন কনস্যুলেট জেনারেল প্রতিষ্ঠিত হলে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ হবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৯
এমআইএইচ/টিএ