প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু প্রথমে ১৯৭২ সালে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড আইন করেছিলেন। এরপর বিশেষ প্রেক্ষাপটে ‘দ্য মাদরাসা এডুকেশন অর্ডিন্যান্স-১৯৭৮’ করা হয়। এর বলে বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের সার্বিক পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রিত হয়। মাদরাসা শিক্ষা বিকাশে ৪১ বছরে পুরনো ও ইংরেজিতে লিখিত আইনটি সময়েল চাহিদা পূরণে যথেষ্ট নয়। এছাড়া সামরিক শাসনামলে জারিকৃত অধ্যাদেশসমূহের বিষয়ে মন্ত্রিসভার নির্দেশনা রয়েছে।
প্রস্তাবিত আইনে মোট ৩০ ধারা সন্নিবেশিত রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, বিদ্যমান অধ্যাদেশে উল্লেখিত ‘বোর্ড’ শব্দের পরিবর্তে ‘পরিচালনা পর্ষদ’ প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। বোর্ডের সদস্য সংখ্যা ১৩ জনের পরিবর্তে ১৫ জন করা হয়েছে। বিদ্যমান অর্ডিন্যান্সে বোর্ডের কোনো সদস্য সচিব ছিল না। বর্তমানে খসড়া আইনে রেজিস্ট্রারকে সদস্য সচিব হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
পাঠক্রম, পাঠ্যসূচি ও পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন, উন্নয়ন, নবায়ন, নিরীক্ষণ এবং সংস্কার কার্যক্রমে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডকে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড প্রয়োজনীয় সহায়তা করবে বলে নতুন ধারা সংযোজন করা হয়েছে।
প্রস্তাবিত খসড়া আইনের উদ্দেশ্যে পূরণকল্পে বিশেষ জ্ঞান ও দক্ষতা প্রয়োজন হয় এরূপ কোনো কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য বোর্ড পরামর্শক বা বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করতে পারবে বলেও নতুন ধারা সংযোজন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের তহবিলের উৎস হিসেবে সরকারের পর্বানুমোদনক্রমে বৈদেশিক উৎস হতে অনুদান গ্রহণ করতে পারবে মর্মে বিধান সংযুক্ত করা হয়েছে।
আইনের উদ্দেশ্যকল্পে মাদরাসা শিক্ষার ধরন, মেয়াদ মান ও যোগ্যতা সনদ নির্ধারণ বিষয়ে বিধান সংযুক্ত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৯
এমআইএইচ/আরআইএস/