মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে মাদকবিরোধী সচেতনতার লক্ষ্যে আয়োজিত ‘বিচ ম্যারাথন’ উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
‘মাদকের বিরুদ্ধে দৌড়াও বাংলাদেশ’ শিরোনামে ১০ কিলোমিটার ব্যাপী এ বিচ ম্যারাথনে অংশ নিচ্ছেন পটুয়াখালী ও বরগুনার স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই হাজার শিক্ষার্থী।
র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদক, জঙ্গি ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় মাদক, জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদ ও দুর্নীতি এ তিনটি অভিশাপ। উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে সমাজকে এ অভিশাপমুক্ত করতে হবে। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধসহ যে কোনো সংকটের সময় দেশের মানুষ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ অসম্ভবকে সম্ভব করার দেশ। এবারও সবাই মিলে সচেষ্ট হলে দেশের উন্নয়নে এ তিন অভিশাপ বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না।
মাদকের বিরুদ্ধে সবার শক্তিশালী ভূমিকা প্রত্যাশা করে তিনি বলেন, মাদকমুক্ত করার দায়িত্ব শুধু আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর একার নয়। মাদকের বিরুদ্ধে সবারই সামাজিক দায়িত্ব রয়েছে। মাদকের সাপ্লাই এবং ডিমান্ড কাট করতে হবে।
আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী শুধুমাত্র সাপ্লাই কাট করতে পারে। কিন্তু একইসঙ্গে ডিমান্ড কাট করতে হলে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সবাই একসঙ্গে এগিয়ে এলে আমরা দ্রুতই মাদকমুক্ত সমাজ গঠন করতে পারবো।
পরিবারকে নজর রাখতে হবে যেন সন্তানরা মাদকের সঙ্গে জড়িয়ে না যান। মাদকে জড়িয়ে গেলেও তাকে ফিরিয়ে আনার উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। সমাজ-রাষ্ট্রের সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে মাদকের বিরুদ্ধে এগিয়ে আসতে হবে।
বছরে মাদকের এক লাখ কোটি টাকার লেনদেন হয় জানিয়ে র্যার প্রধান বলেন, এ বিপুল পরিমাণ অর্থ যদি দেশের উন্নয়নে ব্যয় করতে পারি, তাহলে দেশটা আরও এগিয়ে যেত। আমরা মাদকমুক্ত একটি সুস্থ-সবল পরবর্তী প্রজন্ম চাই।
মাদকের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টির জন্যই আজকের এ বিচ ম্যারাথন। আগামী দিনগুলোতে অবশ্যই মাদককে পরাজিত করা হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
** কুয়াকাটায় র্যাবের মাদকবিরোধী ‘বিচ ম্যারাথন’
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৯
পিএম/আরআইএস