২০১৫ সালের ৫ আগস্ট লিভ টু আপিল খারিজ করে দেওয়া রায় বহাল রেখে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির বেঞ্চ এ রায় দিয়েছেন। রায়ে পাঁচ জনের করা রিভিউ আবেদনও খারিজ করে দেন আদালত।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে এ রিভিউ আবেদনের রায় প্রকাশ হয়েছে। রায়ে ‘শুধু ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নয় জলবায়ুর ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় সরকারকে নীতিমালা তৈরি করার নির্দেশনাও দেওয়া হয়।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আশরাফুল আবসার বাংলানিউজকে জানান, হাইকোর্টের নির্দেশনা আমরা এখনও হাতে পাইনি। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা আমাদের কাছে পৌঁছালেই সেই নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ‘কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবনী পয়েন্ট থেকে টেকনাফ পর্যন্ত বিশেষ বিশেষ কিছু পয়েন্টকে (নিদিষ্ট মৌজা) পরিবেশ সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষণা করা হয়। তবে ঢালাওভাবে কক্সবাজার থেকে ইনানী বা টেকনাফ এভাবে বলা যাবে না। ’
বাতিল করা প্লটের মধ্যে কোন কোন হোটেল পড়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা হাতে না পাওয়া পর্যন্ত একদম নাম ধরে বলা যাচ্ছে না। তবে আদালত যেভাবে নির্দেশনা দেবেন, সেভাবেই আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। ’
জানা গেছে, ১৯৯৯ সালের ১৯ এপ্রিলের পর কক্সবাজারের লাবনী পয়েন্ট থেকে টেকনাফ পর্যন্ত কিছু নিদিষ্ট এলাকাকে পরিবেশগত সংকটাপন্ন হিসেবে ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে সরকার। কিন্তু সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে পরিবেশ সংকটাপন্ন এলাকায়ও একের পর এক পাকা স্থাপনা গড়ে তোলা হয়।
এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম গণমাধ্যমকে বলছেন, ‘এ রায় একটি মাইলফলক, অবশ্যই তা বাস্তবায়ন করা হবে। ’
তবে এ রায় অসন্তোষ প্রকাশ করে হোটেল মালিকদের আইনজীবী ব্যারিস্টার ইমরানুল কবীর বলছেন, ‘এতে পর্যটক কমে যাবে কক্সবাজারে। ক্ষতিগ্রস্ত হবে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৯
এসবি/আরআইএস/