ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শেষ ঠিকানা শেখ হাসিনা: নঈম নিজাম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৯
মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শেষ ঠিকানা শেখ হাসিনা: নঈম নিজাম

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শেষ ঠিকানা বলে আখ্যায়িত করেছেন সংবাদমাধ্যম বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক ও কলামিস্ট নঈম নিজাম। একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধু কন্যা হাসিনাকে স্বপ্নচারী ও  জনবান্ধব রাজনীতিক বলেও অভিহিত করেন তিনি। 

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) আয়োজিত এক লেকচার সেশনে প্রধান অতিথি ও একক বক্তা হিসেবে বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন নঈম নিজাম।  উন্মুক্ত এ লেকচারে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রেক্ষাপট ও বাংলাদেশের সমকালীন নানা সমস্যা নিয়ে দীর্ঘ বক্তব্য রাখেন প্রতিথযশা এ সাংবাদিক ।

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দীর্ঘকাল পেশাগত দায়িত্ব পালনের স্মৃতিচারণ করে নঈম নিজাম বলেন, ‘খুব ভোরে কোরআন তেলাওয়াত দিয়ে তার (শেখ হাসিনা) দিন শুরু হতো। আর সেই দিন শেষ হতো রাত ১টায় বা আরও গভীর রাতে। স্বপ্নচারী এবং জনবান্ধব রাজনীতিক তিনি। জনগণের জন্য প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়েছেন। ১৯৯১ থেকে আমিও তার সঙ্গে দেশের ৬৪ জেলায় ঘুরে বেড়িয়েছি। ’ 

‘এখন আশেপাশে দেখা যায় সবাই হাইব্রিড আওয়ামী লীগ। কিন্তু বেশি দূরে যেতে হবে না, ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ যখন বিরোধী দলে, সে সময় তার কার্যালয় সুধা সদনেও এতো আওয়ামী লীগারের ভিড় ছিল না। আর আজ সবাই সেজেছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আওয়ামী লীগ। তবে যাই হোক, এটা ঠিক যে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শেষ ঠিকানা শেখ হাসিনা। ’- তিনি যোগ করেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এ সাংবাদিক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির গৌরবের ধারক। ৭১ সালে পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর লন্ডনে গিয়ে তৎকালীন ইংরেজ নেতৃত্বের সঙ্গে বলিষ্ঠতা আর আত্মবিশ্বাস নিয়ে যুদ্ধোত্তর দেশ গড়ার ব্যাপারে আলোচনা করেন তিনি। নেতৃত্ব আর বলিষ্ঠতার গুণে তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তাকে ‘বিশ্ব নেতৃত্ব’ বলে সম্বোধন করেন। শুধু তাই নয়, ভারতে ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় বঙ্গবন্ধু প্রথম যে কথাটি বলেছিলেন, তা হলো- আমার দেশ থেকে আপনার দেশের সৈন্য কবে সরাবেন? ইতিহাসে এমন নেতার নজিরে বিরল। ’

লেকচার সেশনে নঈম নিজাম (মাঝখানে) ।  ছবি- শাকিল আহমেদ

দীর্ঘ বক্তৃতাপর্বে দেশের সমকালীন মাদক সমস্যা, শিক্ষা সমস্যা, সম্ভাবনাময় পর্যটন খাত, দুর্নীতি, পেশাজীবীদের অনিয়ম নিয়েও কথা বলেন নঈম নিজাম। তবে সব কিছুর পরও আশার বাণী শুনিয়ে তিনি বলেন, ‘মানুষের ইচ্ছাশক্তি অনেক বড় ব্যাপার। মানুষ চেষ্টা করলে সব পারে। আমরাই তো পদ্মাসেতু বানাচ্ছি। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। ব্রিটিশরা, যারা আমদের শাসন করেছে তাদের হাউজ অব কমন্সে এখন আমাদের চারজন সংসদ সদস্য। বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় বাংলাদেশিরা ছড়িয়ে পড়ছে। স্যার ফজলে হাসান আবেদের মতো মানুষেরা বিশ্বে বাংলাদেশকে চিনিয়েছেন। আমাদের এমন অনেক অর্জন আছে। কিন্তু কিছু মানুষের অতি লোভে, অতি চাওয়া-পাওয়ায় আমাদের এসব অর্জন ম্লান হচ্ছে। এটা কাম্য নয়। ’ 

বক্তব্যের শেষ ভাগে পেশাজীবীদের রাজনৈতিক সংগঠন ও কর্মকাণ্ডে বেশি সময় দেওয়ার চেয়ে পেশার প্রতি আরও বেশি আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানান নঈম নিজাম।

আইডিইবির ১২তম মাসিক এ সভার সভাপতিত্ব করেন- সংস্থাটির নির্বাহী কমিটির সভাপতি এ কে এম এ হামিদ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন- সাধারণ সম্পাদক শামসুর রহমান। আলোচন শুরুর আগে নঈম নিজামকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান নির্বাহী কমিটির ঊর্ধ্বতন সদস্যরা।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৯ 
এসএইচএস/এইচজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।