মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে মাহবুবুল হক শাকিলের ৫১তম জন্মোৎসব উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে তরুণ কবি মন্দিরা এষকে মাহবুবুল হক শাকিল পুরস্কার ২০১৯ দেওয়া হয়।
মাহবুবুল হক শাকিল সংসদের সভাপতি ও বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবিবুল্লাহ সিরাজীর সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন মাহবুবুল হক শাকিলের বাবা ময়মনসিংহ আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট জহিরুল হক খোকা, প্রকাশক ওসমান গনি, মাজহারুল ইসলাম, কবি কাজী রোজী, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন প্রমুখ। পরে অনুষ্ঠানে মাহবুবুল হক শাকিলকে নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়।
অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, ছাত্রজীবন থেকে শাকিল রাজনীতি করেছেন মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য। অন্যকে পীড়ন করে তিনি নিজের স্বার্থ হাসিল করেননি। এখন রাজনীতি কলুষিত হয়েছে। সেই কলুষ শাকিলকে কোনোভাবেই স্পর্শ করেনি।
সাহিত্য প্রতিভা নিয়ে তিনি বলেন, সাহিত্যক্ষেত্রে তিনিতো নবীনই ছিলেন। তার তিনটি মাত্র কবিতার বই বের হয়েছে। দ্বিতীয় কবিতার বইয়ে শাকিলের নিজস্বতা বেশি স্পষ্ট হয়েছে। সাহিত্যক্ষেত্রে শাকিল আমাদেরকে আরও বেশি দিতে পারতেন। সেই রকম প্রতিভা তার ছিল। অনেককেই তার প্রতিভার পূর্ণবিকাশের আগে চলে যেতে হয়। এ ট্যাজেডি আমাদেরকে মেনে নিতে হয়।
তিনি বলেন, মানুষ হিসেবে শাকিল ছিলেন অসাধারণ। মানুষকে সাহায্যের জন্য তিনি এগিয়ে আসতেন। অন্যকে সাহায্য করার চেষ্টা তার মহৎ গুণ ছিল। শাকিলের মাঝে কোনো ক্লান্তি দেখিনি। তিনি জীবনকে উপভোগ করেছিলেন। তারপরেও জীবনের সবটুকু দেওয়ার আগেই তিনি চলে গেলেন।
জহিরুল হক খোকা বলেন, ছাত্ররাজনীতি থেকে জাতীয় রাজনীতি, সংস্কৃতি, সাহিত্য প্রতিটি ক্ষেত্রেই শাকিল মেধা মনন প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে গিয়েছে। অল্প সময়ের ব্যবধানে কখন যে কবি লেখক হয়ে ওঠল বুঝে ওঠতে পারিনি। সমুদ্রে জল চলে গেলে তট রেখা থাকে। সাহিত্যের ক্ষেত্রে শাকিল তেমনি তটরেখা রেখে গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৯
এসকেবি/এবি