বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে ভুক্তভোগী যাত্রী মো. কবির মুন্সী বাংলানিউজকে বলেন, মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত ৯টা থেকে ঘন কুয়াশায় মাওয়া ফেরিঘাটে আটকে আছি। কখন খুলনা ফিরবো জানি না।
রূপসায় নৌপথের যাত্রী রফিকুল জানান, রাতের শেষদিকে কুয়াশা বেড়ে গেলে নৌরুটের দিকনির্দেশনামূলক বাতি ঝাপসা হয়ে আসে। এ সময় দিক নির্ণয় করতে ব্যর্থ হয় চালকরা।
মনির নামে এক পরিবহন চালক বলেন, সর্বত্রই এত বেশি কুয়াশা যে তিন হাত সামনের জিনিসও দেখা যাচ্ছে না। আর এই ঘন কুয়াশার জেরে বাস দেরিতে চলছে। কুয়াশার কারণে গাড়ি চালানোই অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। সঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানো কোনোমতেই সম্ভব নয়।
এদিকে মঙ্গলবারের ন্যায় বুধবার সকালেও হাড়কাঁপানো ঠাণ্ডার পাশাপাশি গোটা খুলনাজুড়ে দাপট কুয়াশার। বিভিন্ন এলাকায় ভোর থেকে দেখা মিলছে কুয়াশার। বেলা বাড়লে ধীরে ধীরে দাপট কমছে তার।
জেঁকে বসা শীতে চরম বিপাকে পড়েছে শিশু ও বয়স্করা। ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় শীতে নাকাল হয়ে পড়েছে দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ। আবার শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বৃদ্ধ ও শিশুরা।
খুলনা জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ বাংলানিউজকে বলেন, খুলনায় আজকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজকে সারাদিন তাপমাত্রা প্রায় এমনই থাকবে। মঙ্গলবার মেঘলা থাকায় বুধবার কুয়াশা একটু বেশি।
বাংলাদেশ সময়: ১০০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৯
এমআরএম/এসএ