আবহাওয়া অফিস জানায়, গত বছর ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের এই দিনে তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, গরম উষ্ণতা পেতে রোদের পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে সাধারণ ও নিম্ন আয়ের মানুষরা।
এদিকে, সন্ধ্যার পর থেকে সকাল ৮-৯টা পর্যন্ত কুয়াশার পরিমাণ বেশি থাকে। তবে দিনের বেলা কুয়াশা তেমন না থাকলেও উত্তর থেকে বয়ে আসা শৈত্য প্রবাহে কাঁপছে মানুষ। অব্যাহত ঠাণ্ডায় শীত ও শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুসহ বয়স্করা।
রিকশা চালক আব্দুল হাই বাংলানিউজকে জানান, শীতের শুরু থেকেই রোজগার কমে গেছে। শীতের কারণে অনেকই বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না, যে কারণে যাত্রী তেমন পাওয়া যাচ্ছে না। আর যারা বের হচ্ছে তারা বিভিন্ন মাধ্যমে তাদের গন্তব্যে যাচ্ছে।
চা বিক্রেতা শাহিন বাংলানিউজকে বলেন, সন্ধ্যার পর থেকে সকাল পর্যন্ত এলাকার আশপাশ কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে। ঠাণ্ডার কারণে প্রায় জনশূন্য হয়ে থাকছে বাজারগুলো।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসরে সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক জিতেন্দ্রনাথ রায় বাংলানিউজকে জানান, বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় দেশের মধ্যে সর্ব নিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এবং দুপুর ১২টা রেকর্ড করা হয় ১৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা।
তিনি আরও জানান, গত কয়েক দিন আকাশে মেঘ ছিল। আকাশে মেঘ থাকলে তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পায়। এখন মেঘ কেটে যাওয়ায় দিনে রোদের দেখা মিলছে আর রাতের তাপমাত্রা কমে যাচ্ছে। পঞ্চগড় জেলা হিমালয়ের একদম কাছে হওয়ায় এখানে শীত প্রতি বছর একটু আগে আসে এবং পরে যায়।
বিগত ৫০ বছরের রেকর্ড ভেঙে ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৯
এনটি