বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) ঢামেকে দুপুরের দিকে ওই মাদরাসা ছাত্র বলেন, আমি শ্যামলী কেন্দ্রীয় শাহী মসজিদ ও মাদরাসা কমপ্লেক্সে থাকি এবং সেখানে পড়াশোনা করি। আমার মায়ের অপারেশনের জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন সেজন্য মাদরাসা থেকে সবাই আমাকে সাহায্য সহযোগিতা করেছে।
‘মাগরিবের নামাজ শেষ করে আব্দুল্লাহ আল হাদী মসজিদের মাইকে আমার সমস্যার কথা বলে মুসল্লিদের কাছ থেকে কিছু টাকা তুলে দেয় এবং আমাকে ২৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকালে আসতে বলে। মঙ্গলবার ভোর ৬টার দিকে শহীদ পার্ক মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে আসি। তিনি আমাকে মসজিদে তার রুমে নিয়ে দরজা আটকিয়ে দেয় এবং আমার দ্বারা তার শরীর ম্যাসেজ করায়। ’
ওই ছাত্র আরও বলেন, এক পর্যায়ে ওনি আমাকে দৈহিক সম্পর্ক করার প্রস্তাব দেন। আমি সম্মতি না দিলেও জোরপূর্বকভাবে তিনি আমাকে যৌন নির্যাতন করেন। পরে আমি যেন কারও কাছে না বলি সেজন্য বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখান তিনি।
মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল লতিফ বলেন, গতকাল বিকেলে ভুক্তোভোগী মাদরাসা ছাত্র নিজে বাদী হয়ে মামলা করে। গত রাতেই আসামি মসজিদের ইমাম আব্দুল আল হাদীকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মাদরাসা ছাত্রের শারীরিক পরীক্ষার জন্য ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৯
এজেডএস/এইচএডি/