এতে দুই জেলাতেই কাজের ব্যাঘাত ঘটছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, গত ৩ নভেম্বর বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) ভোলার সহকারী ব্যবস্থাপক মো. মনিরুল আলমের পিরোজপুরে বদলির আদেশ হয়।
অফিস সূত্র জানায়, মনিরুল আলম যোগদানের তারিখে পিরোজপুরে যোগদান করে সপ্তাহে এক দিন পিরোজপুরে এসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রে স্বাক্ষর করে বাকি দিনগুলো তিনি ভোলাতেই থাকেন। প্রভাস কুমারও একইভাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এ ব্যাপারে ভোলায় বদলি হওয়া ও পিরোজপুর থাকা সহকারী ব্যবস্থাপক প্রভাস কুমার বাংলানিউজকে জানান, পিরোজপুরে শতাধিক মামলা রয়েছে। আর এসব মামলার বাদী আমি নিজেই। তাই ভোলায় যেতে পারছি না। আর এসব কাজ আমরা বরিশালের উপ-মহাব্যবস্থাপকের সঙ্গে কথা বলেই করছি।
এদিকে ভোলা বিটিসিএলের অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সাল থেকে মনিরুল আলম সেখানে কর্মরত আছেন। দীর্ঘদিন এক জায়গায় কর্মরত থাকায় তিনি বিভিন্ন দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। অফিস ফাঁকি দিয়ে স্থানীয় বিভিন্ন দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। এতে ভোলার টেলিফোন বিভাগের সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মনিরুল আলম বলেন, এখানকার (ভোলার) কিছু কাজ বাকি থাকায় পিরোজপুরে যাওয়া হচ্ছে না। তাছাড়া ভোলায় পোস্টিং পাওয়া প্রভাস কুমার এখনও স্থায়ীভাবে ভোলায় যোগদান করেননি। দু’জনেরই দুই জায়গার কিছু কাজ বাকি থাকায় সমঝোতা করে অফিস করছি।
বরিশাল বিটিসিএলের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. শামীম ফকির বলেন, আমার জানামতে মনিরুল আলম পিরোজপুরে অফিস করেন, আর প্রভাস কুমার ভোলায় অফিস করেন। তারা যে নিজ নিজ কর্মস্থলে থাকেন না তা আমার জানা নেই।
বাংলাদেশ সময়: ০৩২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৭
জেডএস