ঘন কুয়াশায় সড়কে হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। নাইট কোচের কয়েকজন চালক বাংলানিউজকে বলেন, যেখানে ঢাকা থেকে ঠাকুরগাঁও আসতে সাত থেকে আট ঘণ্টা সময় লাগে, সেখানে ঘন কুয়াশার কারণে সময় লাগছে ১০ থেকে ১৫ ঘণ্টা।
এদিকে পুনরায় শৈত্যপ্রবাহ দেখা দেওয়া খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চরমে।
জেলা সদর উপজেলার দিনমজুর এনামুল বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিদিনই সকালে কাজের জন্য ঠাকুরগাঁও সদর বাসস্ট্যান্ডের শ্রম হাটে আসি। বিভিন্ন লোকজন এসে নানান কাজের জন্য আমাদের দিনমজুর হিসেবে নিয়ে যান। কিন্তু কয়েকদিন ধরে ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীতের কারণে কাজ করতে পারছি না। ফলে সংসার চালাতে কষ্ট হচ্ছে।
আউলিয়াপুর থেকে কাজের সন্ধানে আসা মজিবর বাংলানিউজকে বলেন, একদিন কাজ না করলে পরিবার নিয়ে অনাহারে থাকতে হয়। তাই প্রচণ্ড শীতের মধ্যেও কাজের জন্য শ্রম হাটে আসা। কিন্তু, ভোর থেকে ঘন কুয়াশার জন্য কাজ পাচ্ছি না।
এদিকে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ১০১ জন শিশু হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। বিভিন্ন রোগে ভর্তি আছেন আরও প্রায় ২০০ জন।
হাসপাতালটির শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. শাহাজাহা নেওয়াজ বাংলানিউজকে বলেন, আমরা রোগীদের পরিবারকে বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছি। বিশেষ করে মায়েদের পরামর্শ দিচ্ছি, শিশুদের যেন সবসময় গরম কাপড় পরিধান করে রাখেন এবং বুকের দুধ পান করান।
ঠাকুরগাঁও কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আফতাব উদ্দীন বাংলানিউজকে বলেন, গত কয়েকদিন থেকে ঠাকুরগাঁওয়ে বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বাংলাদেশ সময়: ১১১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৯
এসআরএস