ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

কৃষকরা সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত: পবা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৯
কৃষকরা সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত: পবা

ঢাকা: ফসলি জমি কমে যাওয়ার পরেও কৃষিতে উল্লেখযোগ্য হারে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। অথচ এই সাফল্যের পেছনে যাদের অবদান সবচেয়ে বেশি সেই কৃষকরাই সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত বলে জানিয়েছে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা)। 

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘ধানের ন্যায্যমূল্যঃ সংকট ও প্রস্তাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এ কথা জানান।

বক্তারা বলেন, শহরকে বাঁচাতে হলেও কৃষকের ফসলের দাম নিশ্চিত করতে হবে।

কেননা, কৃষক ফসলের দাম না পেলে কৃষি ছেড়ে দিয়ে অন্য পেশার খোঁজে শহরের চলে আসবে। এতে শহরে চাপ আরও বেড়ে যাবে।

অনুষ্ঠানে ধারণাপত্র উপস্থাপনা করেন বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইনডিজেনাস নলেজের (বারসিক) পরিচালক সৈয়দ আলী বিশ্বাস। এতে বলা হয়, বাংলাদেশের দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) কৃষিখাতের অবদান ১৪ দশমিক ২৩ শতাংশ। কৃষিতে শ্রমশক্তির ৪০ শতাংশ জড়িত। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ধান উৎপাদনের প্রবৃদ্ধিতে বাংলাদেশ বর্তমানে শীর্ষে রয়েছে।

ধারণাপত্রে আরও বলা হয়, প্রতিকেজি ধান উৎপাদনে কৃষকের খরচ হয় ২০ থেকে ২২ টাকা। আর কৃষক তা বিক্রি করতে পারছেন ১২ থেকে ১৩ টাকা কেজি দরে। এই প্রক্রিয়া চলতে থাকলে দেশে খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়বে।

পবার সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আব্দুস সোবহান বলেন, কৃষি প্রধান এই দেশে কেন খাদ্য আমদানি করতে হবে? প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাদ্য আমদানি রোধ করতে হবে। দেশের কৃষকের কাছ থেকে ন্যায্যমূল্যে পণ্য কিনতে হবে।

অনুষ্ঠানে কৃষকের মর্যাদা বৃদ্ধি করারও দাবি জানান বক্তারা। তারা বলেন, কৃষকরা যদি অন্য কোনো পেশায় যাওয়ার সুযোগ পেতেন তাহলে তারা এ পেশায় থাকতেন না। এছাড়া শিক্ষিত যুবকদের কৃষিতে আসার আহ্বান জানান তারা।

পবার সভাপতি আবু নাসের খানের সভাপতিত্বে  সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন- সাবেক সংসদ সদস্য ছবি বিশ্বাস, কৃষক সমিতির সভাপতি জামাল হায়দার মুকুল প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৯
এমএমআই/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।