বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘ধানের ন্যায্যমূল্যঃ সংকট ও প্রস্তাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এ কথা জানান।
বক্তারা বলেন, শহরকে বাঁচাতে হলেও কৃষকের ফসলের দাম নিশ্চিত করতে হবে।
অনুষ্ঠানে ধারণাপত্র উপস্থাপনা করেন বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইনডিজেনাস নলেজের (বারসিক) পরিচালক সৈয়দ আলী বিশ্বাস। এতে বলা হয়, বাংলাদেশের দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) কৃষিখাতের অবদান ১৪ দশমিক ২৩ শতাংশ। কৃষিতে শ্রমশক্তির ৪০ শতাংশ জড়িত। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ধান উৎপাদনের প্রবৃদ্ধিতে বাংলাদেশ বর্তমানে শীর্ষে রয়েছে।
ধারণাপত্রে আরও বলা হয়, প্রতিকেজি ধান উৎপাদনে কৃষকের খরচ হয় ২০ থেকে ২২ টাকা। আর কৃষক তা বিক্রি করতে পারছেন ১২ থেকে ১৩ টাকা কেজি দরে। এই প্রক্রিয়া চলতে থাকলে দেশে খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়বে।
পবার সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আব্দুস সোবহান বলেন, কৃষি প্রধান এই দেশে কেন খাদ্য আমদানি করতে হবে? প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাদ্য আমদানি রোধ করতে হবে। দেশের কৃষকের কাছ থেকে ন্যায্যমূল্যে পণ্য কিনতে হবে।
অনুষ্ঠানে কৃষকের মর্যাদা বৃদ্ধি করারও দাবি জানান বক্তারা। তারা বলেন, কৃষকরা যদি অন্য কোনো পেশায় যাওয়ার সুযোগ পেতেন তাহলে তারা এ পেশায় থাকতেন না। এছাড়া শিক্ষিত যুবকদের কৃষিতে আসার আহ্বান জানান তারা।
পবার সভাপতি আবু নাসের খানের সভাপতিত্বে সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন- সাবেক সংসদ সদস্য ছবি বিশ্বাস, কৃষক সমিতির সভাপতি জামাল হায়দার মুকুল প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৯
এমএমআই/আরবি/