বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশন (ইসি) কার্যালয়ের সামনে থেকে এ অভিযান শুরু হয়। এর আগে মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর নিকেতন এলাকা থেকে বায়ু দূষণ রোধে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে এ অভিযান শুরু হয়।
দ্বিতীয় দফায় রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের আগারগাঁও এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলামের উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তার অনুপস্থিতে এতে নেতৃত্ব দেন অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা (আনিক) মাসুদ হোসেন। ডিএনসিসির বিভিন্ন এলাকায় ও সড়কে বায়ু দূষণের কারণ হতে পারে এমন বস্তুর স্তূপ সরিয়ে দেন ডিএনসিসির কর্মকর্তারা।
অভিযানকালে ইউনিসেফ এর কার্যালয়ে ভবন নির্মাণকাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম খোলামেলাভাবেই পড়ে থাকতে দেখেন ডিএনসিসির কর্মকর্তারা। এছাড়াও সিটি করপোরেশনের অনুমতি না নিয়ে ফুটপাত ভাঙার অপরাধে ইউনিসেফ এর ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের ইঞ্জিনিয়ার আরিফ এবং আমিনুল ইসলামকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এদিকে আগারগাঁও এলাকার সরকারি-বেসরকারি কার্যালয়, নার্সারি এবং আবাসিক কোয়ার্টারে অভিযান চালায় ডিএনসিসি। এ সময় একটি ব্যাংক এবং জাতিসংঘ কার্যালয়ে বায়ু দূষণ সহায়ক পরিবেশ পাওয়ায় তাদের সতর্ক করে দেওয়া হয় সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে। একই সঙ্গে আগারগাঁও সিগন্যাল থেকে শ্যামলীর শিশুমেলা পর্যন্ত সড়কের উভয় পাশে অবৈধ স্থাপনার বিরুদ্ধেও অভিযান পরিচালনা করে ডিএনসিসি। এ সময় উচ্ছেদ করা হয় শতাধিক অবৈধ দোকান। সরিয়ে দেওয়া হয় অবৈধভাবে পরিচালিত নার্সারি।
ডিএনসিসির আনিক-৫ এর মাসুদ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, সিটি মেয়র বায়ু দূষণ রোধে অভিযানের সূচনা করেন। তারই অংশ হিসেবে এ অভিযান চলছে। অভিযানে একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের দুই কর্মকর্তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এ অভিযানে অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৯
এসএইচএস/আরআইএস/