শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলনে এই প্ল্যাটফর্মের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সমাজসেবা সম্পাদক আকতার হোসেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেহেদি হাসান নোবেল, স্বতন্ত্র জোটের শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি আল কাদিরি জয়, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক বিন ইয়ামিন মোল্লা প্রমুখ।
আকতার হোসেন বলেন, বর্তমান বাংলাদেশ অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে ভয়াবহ স্বৈরাচারী দুঃশাসনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। যার ঢেউ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কোনো অংশে কম নয়। সরকারদলীয় ছাত্র সংগঠনের সন্ত্রাস সহিংসতার কারণে অসংখ্য শিক্ষার্থী খুন হয়েছে। ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের হাতে প্রতিদিন অসংখ্য শিক্ষার্থী শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। হলে হলে সন্ত্রাস ও দখলদারিত্ব জারি রেখে ছাত্রদের ভয় দেখিয়ে ক্যাম্পাসগুলো কনস্ট্রেশন ক্যাম্পে পরিণত করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সন্ত্রাসী, সাম্প্রদায়িক ও স্বৈরাচারী শক্তির বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাসবিরোধী ছাত্র ঐক্য’ সংগ্রাম পরিচালনা করবে। সন্ত্রাস-দখলদারিত্বমুক্ত নিরাপদ গণতান্ত্রিক ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠার জন্য ছাত্র আন্দোলন গড়ে তোলাই এটার মূল লক্ষ্য।
এর জোটভুক্ত দলগুলো হচ্ছে– বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রী, ছাত্র ফেডারেশন, বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলন, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (মার্কসবাদী), নাগরিক ছাত্র ঐক্য, স্বতন্ত্র জোট এবং ছাত্র গণমঞ্চ।
এসময় চারটি দাবি উত্থাপন করা হয়। দাবিগুলো হল- ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুরসহ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের বহিষ্কার ও বিচার করা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ের প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রব্বানীকে অপসারণ করা, হামলায় আহতদের চিকিৎসার ব্যয়ভার প্রশাসনকে বহন করা এবং ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক পরিবেশ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, হলে হলে দখলদারিত্ব, গণরুম, গেস্টরুম নির্যাতন বন্ধ করা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৯
এসকেবি/টিএ