শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
অভিযুক্তরা হলেন লক্ষ্মীপুর পৌরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের বাঞ্চানগর এলাকার বাসিন্দা রাতুল রায়হান নিহাদ ও সোহাগ।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ২৪ ডিসেম্বর রাতে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার বাঞ্চানগর এলাকায় বাবার বাড়িতে একা ছিলেন ওই গৃহবধূ। ভোররাতে ভেন্টিলেটর ভেঙে ওই দুই যুবক বাসায় ঢুকেন। এসময় টের পেয়ে চিৎকার দেওয়ার চেষ্টা করলে তারা গৃহবধূর মুখ চেপে ধরেন। পরে তারা ওই গৃহবধূকে পালাক্রমে ধর্ষণ করার পর পালিয়ে যান।
গৃহবধূ তার স্বামী ও ভাবিকে এ ঘটনা জানালে তারা পুলিশে খবর দেন। ২৫ ডিসেম্বর দুপুরে ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা করেন। তাকে বর্তমানে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
গৃহবধূর স্বামী বলেন, ওই রাতে আমার স্ত্রী একাই বাসায় ঘুমিয়ে ছিল। ঘটনার সময় ভেন্টিলেটর ভেঙে সোহাগ ও নিহাদ বাসায় ঢুকে। এসময় চিৎকার দিতে গেলে তারা আমার স্ত্রীর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে তারা আমার স্ত্রীকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। এরপর থেকে তাদেরকে আর এলাকায় দেখা যায়নি।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আজিজুর রহমান মিয়া বলেন, আসামিরা মাদকসেবী বলে জানতে পেরেছি। চুরি করতে গিয়ে গৃহবধূকে একা পেয়ে তারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আসামিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত আছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৯
এসআর/এবি