ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

গভীর রাতেও শীতবস্ত্রের দোকানে উপচেপড়া ভিড়

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৯
গভীর রাতেও শীতবস্ত্রের দোকানে উপচেপড়া ভিড়

সিরাজগঞ্জ: অব্যাহত শৈতপ্রবাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সিরাজগঞ্জের জনজীবনও। তীব্র শীতে জবুথবু অবস্থায় নিম্ন আয়ের মানুষ। এর প্রভাব পড়েছে শীতবস্ত্রের দোকানগুলোতে।

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) গভীর রাতেও উপচেপড়া ভিড় দেখা যায় জেলা শহরের পৌর হকার্স মার্কেট ও এসএস রোডের বিভিন্ন মার্কেটে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের ভিড় এটা।

সোয়েটার, লং কোট, মাফলার, চাদর ও পুরাতন জ্যাকেট বিক্রির ধুম পড়েছে এসব দোকানে।

পৌর হকার্স মার্কেটের পুরান কাপড় বিক্রতা নাজিম উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, ১৫ বছর ধরে কাপড়ের ব্যবসা করি। অন্য যেকোনো বছরের চেয়ে এবার শীতের কাপড়ের চাহিদা বেশি। গভীর রাতেও ক্রেতার ভিড় কমছে না। বাধ্য হয়েই রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখতে হচ্ছে।

জেসমিন তালুকদার নামে আরেক দোকানি বলেন, এখানে দরিদ্র ও স্বল্প আয়ের মানুষগুলোই বেশি আসে। তবে মধ্যবিত্ত ও কিছু উচ্চবিত্তের মানুষও বর্তমানে আমাদের মার্কেটে আসছে।

দোকানি নায়েব আলী বলেন, বড়দের কাপড়ের পাশাপাশি শিশুদের কাপড়ও বেশ বিক্রি হচ্ছে।

এ মার্কেটে আসা ক্রেতা রিকশাচালক জমির আলী ও তাঁত শ্রমিক জহুরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, এত শীত পড়বে ভাবতেও পারিনি। বেশি দামের কাপড় কেনার সামর্থ্য নেই। তাই হকার্স মার্কেটে এসেছি। ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পুরান কাপড়ই আমাদের ভরসা।

এদিকে, আগামী সপ্তাহে শীত আরও বাড়তে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

তাড়াশ কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের অবজারভার ফজলুল হক বাংলানিউজকে বলেন, শনিবার তাড়াশে সর্বনিম্ন ১০ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া আগামী সপ্তাহে তাপমাত্রা আরও কমার আশঙ্কা রয়েছে। ২ জানুয়ারি আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে এবং ৩ ও ৪ জানুয়ারি বৃষ্টি হতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ০৪১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৯
টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।