মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সামনে সংগঠনটি আয়োজিত সাগর-রুনি হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।
উপস্থিত সবার হয়ে কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে ডিআরইউ সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ বলেন, তাদের হত্যার পরই তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিক মহলসহ দেশবাসীকে আশ্বস্ত করেছিলেন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করব।
‘এই তদন্ত কর্মকর্তা আদালতের কাছে বারবার সময় চেয়ে আসছেন। আদালত তাদের সময় দিয়েছেন। মোট ৭১ বার সময় দেওয়া হয়েছে। আমরা আর সময় বাড়ানোর এই দৃশ্য দেখতে চাই না। আমরা চাই এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুত হোক। পাশাপাশি অন্য সব হত্যার রহস্য উদঘাটন ও বিচার হোক। এজন্য আমরা কর্মসূচি ঘোষণা করছি। এই হত্যার বিচারের দাবিতে আগামী ১৫ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও করা হবে। একইসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হবে। ’
এই সমাবেশে মোবাইলে সংযুক্ত হন নিহত সাংবাদিক সাগরের মা এবং রুনির শাশুড়ি সালেহা খানম। তখন তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারি এলে আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি। আমি এই হত্যাকাণ্ড মেনে নিতে পারছি না। এটা কী গণতান্ত্রিক কোনো দেশ? বিচার চেয়েও পাচ্ছি না। আমাকে বিচারের নামে আর কত নাটক দেখতে হবে। আমি কী তবে বিচার চেয়ে ভুল করেছিলাম।
তিনি বলেন, আমার সন্তান সাগর-রুনি কোনো রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার আসামি ছিল না। চোর-ডাকাত ছিল না। তবে কেনো তাদের বিচার নিয়ে এত নাটক। আমরা এ নাটক আর দেখতে চাই না। তৎকালীন সময়ের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এ হত্যাকাণ্ডের উদঘাটন করবেন বলে আশ্বাস দিলেও আজ আট বছরেও হয়নি।
‘আমি একজন মা। আমার সন্তান দুটিসহ সব সাংবাদিক হত্যার বিচার চাই। গণতান্ত্রিক দেশে যেকোনো অন্যায়ের বিচার হবে, এটা স্বাভাবিক। আমি এই হত্যার বিচার চাই। প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও হাইকোর্টের কাছে আবেদন জানাই, আমি আমার মৃত্যুর আগে যেনো এই হত্যার বিচার দেখে যেতে পারি। আর আমি বলবো তোমরা (সাংবাদিক) সাবধানে থেকো। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২০
ইএআর/টিএ