বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বরিশাল জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আমন সংগ্রহ ২০১৯-২০ উপলক্ষে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ধান-চাল কেনার ক্ষেত্রে আমাদের গুনগত মান ঠিক রাখতে হবে।
তিনি ওসি এলএসডিদের বলেন, তালিকা ধরে উপযুক্ত প্রক্রিয়ায় ধান নিবেন, যদি কেউ ধান না দেয় তাদের তালিকা করে বাদ দিয়ে নতুন তালিকা করেন। কোনোভাবেই কৃষকদের হয়রানি করবেন না, পাশাপাশি শ্রমের খরচ কৃষকদের কাছ থেকে দিতে দিবেন না। এটা তো হ্যান্ডেলিং ঠিকাদার দিবে। এরকম আরও বেশ কিছু সমস্যা আমরা চিহ্নিত করেছি, যা বরদাস্ত করতে আমরা চাই না।
মিল মালিকদের তিনি বলেন, আপনারা যে ধানটি নিবেন, সেই ধানের চালটাই আবার দিবেন। ওসি এলএসডিদের সঙ্গে যোগসাজেশ করে টিআর কাবিখা’র চাল নিয়ে একটু মডেল করে দিয়ে জমা দিবেন না। এধরনের কোনো বিষয় সামনে আসলে তার সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, খাদ্য এবং কৃষি অঙ্গাঅঙ্গীভাবে জড়িত। তাই কৃষি কর্মকর্তাদের অনেক দায়িত্ব রয়েছে। একজন শিক্ষক যেমন তার ছাত্রদের নার্সিং করবে, উকিল যেমন তার মক্কেলকে নার্সিং করবে তেমনি আপনারাও কৃষকদের নার্সিং করবেন। আমাদের এখানে ধান নিয়ে এসে গুনগত মানের জন্য কৃষক যেন ফেরত না যায়, সে ব্যবস্থা আপনাদেরই করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, যখন ধানে পোকা লাগে তখন আমাদের কৃষকরা বিষ প্রয়োগ করতেই থাকে। কিন্তু কতটুকু বা কিভাবে করলে ধানটা ভালো থাকবে, চালটা নিরাপদ হবে, মানবদেহের ক্ষতি হবে না তা কিন্তু তারা জানেন না। প্রতিটি উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তার দায়িত্ব রয়েছে বিষয়টি তাদের দোড়গোড়ায় গিয়ে বোঝানোর।
বিভাগীয় ও জেলা খাদ্য এবং কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রনালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম ও জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২০
এমএস/এবি