অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের এপ্রিল মাস থেকে জেলার বোদা উপজেলার কাটুনহাড়ি ও বন্দরমনি ঘাট থেকে বালু উত্তোলন করছেন ইজারদাররা।
নদীর পাড়েই কয়েকজন অধিবাসী কয়েকশ একর জমিজুড়ে কয়েকটি আম বাগান করেছেন।
বাগান মালিক সারোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে জানান, নদীর ধারেই ১৫ বিঘা জমিতে আম বাগান রয়েছে তার। বেপোরোয়াভাবে নদীতে বালু উত্তোলনের ফলে আমার বাগানের কিছু অংশ এবং কয়েকজনের আম বাগান নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। করোতোয়া নদীর এই বালুমহল থেকে বালুউত্তোলন করছেন আব্দুল মজিদ নামে একজন ইজারাদার। নদীতে প্রায় ১৫ ফিট গভীর করে বালু উত্তোলনের ফলে পাড় ভেঙে পড়ছে। বাগানগুলোর পাশেই রয়েছে ফসলি জমি। এভাবে বালু উত্তোলন চলতে থাকলে অচিরেই বাগান এবং ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
এ ব্যাপারে আমরা বেশ কয়েকবার জেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পায়নি।
ইজারাদার আব্দুল মজিদ জানান, আম বাগান তলিয়ে যাচ্ছে, এটা আমি জানি না। তবে গত বছরের এপ্রিল মাসে জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে ৭২ লাখ টাকার বিনিময়ে বালুমহল ইজারা নিয়েছি।
পঞ্চগড় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আব্দুল মান্নান বাংলানিউজকে জানান, এ ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বোদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৪ ঘন্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২০
এএটি