বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের পরিচালক জামাল হোসেন দুপুরে চিকিৎসক মোবারককে হাসপাতালে ডেকে নিয়ে যান। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন।
এ ঘটনার বিচারের দাবি করে মৃতের ভাই ইউসুফ আহমেদ রাসেল বলেন, চাচাতো ভাই মোবারক চিকিৎসক হিসেবে রাজধানীর ডেমরা থানাধীন মাতুয়াইলের ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে চাকরি করতো। হাসপাতালের পরিচালক জামালের সঙ্গে লেনদেন সংক্রান্ত ঝামেলার ফলে জামাল তাকে ডেকে নেয় তার অফিস কক্ষে। পরিচালকের কক্ষে প্রবেশের পর বাইরে থেকে কেউ দরজা আটকে দিয়েছিল। কক্ষটির পেছনের দরজা দিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যার পর পালিয়ে যায় হত্যাকারীরা। পৈশাচিক কায়দায় নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয় মরদেহ। নিশ্চিত এ হত্যাকাণ্ডকে পুলিশ বলছে অপমৃত্যু। সারা পিঠে ও কোমরে আঘাতের চিহ্ন থাকার পরেও কর্তব্যরত পুলিশ তার সুরতহাল প্রতিবেদনে তেমন কিছু উল্লেখ না করেই আমাদের সুরতহাল রিপোর্ট নিতে বাধ্য করে।
তিনি বলেন, শুরু থেকেই আমরা লক্ষ করেছি এ ব্যাপারে পুলিশের আন্তরিকতা তো নেই-ই, বরং নিশ্চিত হত্যার বিষয়টিকে আত্মহত্যায় রূপ দেওয়ার চেষ্টা করছে তারা। মৃতের পা দু’টি মেঝেতে ভর দেওয়া থাকলেও ডেমরা থানার পুলিশ ইনিয়ে-বিনিয়ে বলছে আত্মহত্যা হতে পারে। ঘাতক জামালসহ অভিযুক্তরা ঘটনার পর থেকে পলাতক। এ বিষয়ে আমরা মামলা করতে চাইলেও পুলিশ অনেক পরে মামলা নিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি। আমরা মোবারক হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচার চাই।
মৃতের ভাই রুহুল আমিনসহ পরিবারের অভিযোগ, ওই হাসপাতালের পরিচালক জামাল হোসেন আর্থিক লেনদেনের জের ধরেই পরিকল্পিতভাবে মোবারককে হত্যা করেছে। দ্রুত সুষ্ঠু তদন্ত করে মোবারক হত্যার দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান তারা।
ডেমরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিদ্দীকুর রহমান জানান, খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মৃতের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে। আমি নিজেও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি, ঘটনাটি রহস্যজনক। গত বৃহস্পতিবার থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। তবে মরদেহের গলায় ও পায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ঘটনার তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২০
এমএমআই/এফএম