সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণে সরকারি বাধ্যবাধকতা থাকলেও এসব বিদ্যালয়ে বিষয়টি দীর্ঘ চার যুগ ধরে উপেক্ষিত থেকেছে। তবে স্বাধীনতার ৪৯ বছর পর সৈয়দপুর উপজেলা প্রশাসন ও শিক্ষা বিভাগ শহীদ মিনার তৈরির দৃঢ় পদক্ষেপ নেয়।
সৈয়দপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় জানায়, উপজেলার ৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আগে থেকেই শহীদ মিনার রয়েছে। তবে কয়েকটি বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় দেখা দিয়েছে জটিলতা।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সরজমিনে গেলে দেখা যায়, উপজেলার বানিয়াপাড়া আজিজিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইলিয়াছ জানান, সরকারি বরাদ্দে স্কুল সংস্কার খাত থেকে পাওয়া টাকা ও স্থানীয় সহযোগিতায় শহীদ মিনার নির্মাণ কাজ শুরু করি।
ওই স্কুলের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি এম ওমর ফারুক জানান, বরাদ্দ ছিল অপ্রতুল। কাজেই কমিটির অন্য সদস্যদের কাছ থেকে চাঁদা নিয়ে ও সবার সহযোগিতায় শহীদ মিনারটি নির্মাণ করেছি। যাতে ব্যয় হয়েছে এক লাখ টাকা।
বাঁশবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি জোবায়দুর রহমান শাহীন জানান, আমরা অনেক আগেই স্কুলটির আঙিনায় শহীদ মিনার গড়ে তুলি। এর চত্বরে জাতীয় দিবসগুলোতে শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরা হয় ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস।
এ নিয়ে কথা হয় সৈয়দপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শাহজাহান মন্ডলের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমরা উপলব্ধি করেছি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস ছড়িয়ে দেওয়া প্রয়োজন। সে লক্ষ্যে প্রতিটি স্কুলে গড়ে তোলা হচ্ছে শহীদ মিনার।
সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাসিম আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অংকুরিত হয় আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম। এর ইতিহাস শিক্ষার্থীদের জানাতে আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। বহু আগেই প্রতিটি স্কুলে শহীদ মিনার গড়ে তোলা প্রয়োজন ছিল। আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। সে অনুয়ায়ী ৪৮টি স্কুলে নির্মাণ সম্পন্ন করা হয়েছে শহীদ মিনারের। বাকিগুলোর কাজও যথাসময়ে শেষ হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০২০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২০
এইচএডি/