সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার কসবা ইউনিয়নের এলাইপুর বাজারে বাংলাদেশ গ্রামীন উন্নয়ন সোসাইটির কার্যলয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এনজিওটির গ্রাহক শ্রীপতি কর্মকার বাংলানিউজকে বলেন, ‘বাংলাদেশ গ্রামীন উন্নয়ন সোসাইটি’ নামের একটি এনজিও কসবা ইউনিয়নের এলাইপুর বাজারে একটি অফিস ভাড়া নিয়ে প্রায় ৬ মাস ধরে ঋণদান ও সঞ্চয় সংগ্রহ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলো।
অন্যদিকে গ্রাহক মিলি খাতুন ও ফারুক জানান, লোন নেওয়ার শর্তে দুই মাস পূর্বে তারা ৪০ হাজার করে ৮০ হাজার টাকা সঞ্চয় জমা রাখার পর লোনের জন্য তারা অফিসে এসে জানতে পারে অফিসটি তালাবদ্ধ। এ এনজিওটি প্রায় ৭ থেকে ৮ লাখ টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়েছে।
বিষয়টি জানতে বাংলাদেশ গ্রামীন উন্নয়ন সোসাইটির এনজিওর মালিক নাইম ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ব্যবহৃত ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে নাচোল মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন জানান, প্রায় ৬ মাস ধরে লাপাত্তা এনজিওটি এলাইপুর বাজারে তাদের ঋণদান ও সঞ্চয় কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলো । হঠাৎ বিকেলে অফিসের সামনে হট্টগোল দেখে জানা যায় এনজিওটি পালিয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে নাচোল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবিহা সুলতানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কোনো এনজিও এমআরএ ছাড়া এই উপজেলায় ঋণদান কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না। সব এনজিওর মালিককে এমআরএ লাইসেন্স জমা দিতে বলা হয়েছে। আর কথিত এনজিওর বিরুদ্ধে খুব শীগগির অভিযান পরিচালনা করা হবে।
অন্যদিকে নাচোল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা জানান, তিনি বিষয়টি অবগত নন। তবে খোঁজ নিয়ে পরে বিস্তারিত জানাবেন।
নাচোলে সমাজ সেবার নিববন্ধন নিয়ে এমআরএ ছাড়াই নিয়মনীতির কোনো তোয়াক্কা না করে দেদারসে প্রায় ৮০টি এনজিও উচ্চ হারে সুদের রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০২৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২০
এইচএডি/