ঢাকা, সোমবার, ৬ মাঘ ১৪৩১, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

চাঁদপুরে হত্যা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন, দুইজনের পৃথক সাজা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৮ ঘণ্টা, মার্চ ১, ২০২০
চাঁদপুরে হত্যা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন, দুইজনের পৃথক সাজা

চাঁদপুর: চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের পশ্চিম কাজীরগাঁও গ্রামের নাসির উদ্দিনকে হত্যার দায়ে মো. জুয়েল নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। 

একইসঙ্গে এ মামলার অপর আরও দুই আসামিকে পৃথক সাজা দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে মো. রিপনকে ৩২৬ ধারায় পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড, ৩২৩ ধারার অপরাধে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ৩২৪ ধারার অপরাধে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং অপর আসামি ফারহান ওরফে ফেন্সীকে ৩২৩ ধারার অপরাধে ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

আসামি রিপনের সব সাজা একসঙ্গে চলবে।
 
রোববার (১ মার্চ) দুপুরে চাঁদপুরের জেলা ও দায়রা জজ মো. জুলফিকার আলী খাঁন এ রায় ঘোষণা করেন।  

নিহত নাসির উদ্দিন মিয়াজীবাড়ীর আব্দুল মতিন মিয়াজীর ছেলে।  
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত মো. জুয়েল, পৃথক সাজাপ্রাপ্ত রিপন ও ফারহানা মিয়াজীবাড়ীর আব্দুর রহিমের ছেলে এবং মেয়ে। বাদী ও বিবাদীরা একই বাড়ির বাসিন্দা।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০৭ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মামলার বাদী মো. গিয়াস উদ্দিন ও তার আপন ভাই নাসির উদ্দিন ইফতারের পরে নামাজের জন্য বাড়ির পুকুরে অজু করতে যান। ওই সময় বাড়ির ইজমালি রাস্তায় পুকুরের পাড়ে বিবাদী রিপনদের একটি গরুর বাছুর দেখতে পায়। তখন নাসির ওই বাছুরের রশি খুলে দেয় এবং অন্যত্র নিয়ে যেতে বলে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে রিপন তাদের ঘরে থাকা শাবল দিয়ে নাসিরকে পিটিয়ে জখম করে। এ সময় নাসির চিৎকার করলে অপর আসামি জুয়েল ও ফেন্সি ঘরে থাকা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রিপনের সঙ্গে যোগ দেয়।

তারা নাসিরকে বেধম পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। ঘটনার সময় নাসিরকে উদ্ধার করার জন্য তার স্বজনরা এগিয়ে এলে তাদেরও মারধর করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় নাসিরকে উদ্ধার করে প্রথমে হাজীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পরবর্তীকালে কুমিল্লা মেডিক্যালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তার অবস্থার অবনতি হলে পরে তাকে কুমিল্লা থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৯ সেপ্টের দুপুর ১২টায় নাসির উদ্দিনের মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় নাসির উদ্দিনের বড় ভাই গিয়াস উদ্দিন ঘটনার দিন বাদী হয়ে হাজীগঞ্জ থানায় পাঁচ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাদেকুর রহমান ব্যাপক তদন্ত শেষে একই বছরের ২৭ অক্টোবর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রনজিত রায় চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, সাক্ষ্যপ্রমাণ ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে বিচারক এ রায় দেন। রায়ের সময়ে আসামিরা পলাতক ছিলেন।

রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) ছিলেন মোক্তার আহমেদ। আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন রাজেশ মুখার্জি ও মো. ফারুক।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৭ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০২০
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।