ঢাকা, সোমবার, ৬ মাঘ ১৪৩১, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

দিল্লি সহিংসতা ভারতের অভ্যন্তরীণ ইস্যু: পররাষ্ট্র সচিব

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ১, ২০২০
দিল্লি সহিংসতা ভারতের অভ্যন্তরীণ ইস্যু: পররাষ্ট্র সচিব

ঢাকা: সম্প্রতি দিল্লিতে নাগরিকত্ব আইনকে কেন্দ্র করে সংঘটিত সহিংসতাকে ভারতের অভ্যন্তরীণ ইস্যু বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।  

রোববার (১ মার্চ) বিকেলে রাজধানী ইস্কাটনে বাংলাদেশ ইনিস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক স্টাডিজ (বিজ) মিলনায়তনে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্র সচিব।  

মাসুদ বিন মোমেন বলেন, সম্প্রতি ভারতের দিল্লীতে নাগরিকত্ব আইনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা হয়েছে।

কেই চায় না এটা হোক, আমরা সহিংসতার বিপক্ষে। তবে দিল্লীর সহিংসতা একান্ত ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। (প্রতিবেশী ও বন্ধুপ্রতিম দেশ হিসেবে) আমরা চাইবো যত দ্রুত সম্ভব এটার সমাধান আসুক।

মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অতিথি করা নিয়ে দেশে নানা সমালোচনা ও বিক্ষোভ চলছে। এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সরকারের এ আমলা বলেন, নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতায় কোনো বিক্ষোভই আমরা আমলে নিচ্ছি না। মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে ভারতের অবদান অস্বীকার করার সুযোগ নেই। মুজিববর্ষ উপলক্ষে আগামী ১৭ মার্চ সকালে আমাদের মহান স্বাধীনতার অন্যতম সহযোগী প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আমাদের দেশে আসবেন। তাছাড়া দিল্লীর সহিংসতা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমরা চাইবো দ্রুত এটার সমাধান আসুক।

মোদীর এ সফরে বাংলাদেশ-ভারতের অমীমাংসিত বিভিন্ন বিষয় আলোচনায় আসবে কিনা জানতে চাইলে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, অবশ্যই আলোচনায় আসবে সে সব বিষয়। তবে মেইন ফোকাস থাকবে মুজিববর্ষ।

নরেন্দ্র মোদীর সফরের আগে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশ সফর করবেন। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ভারতের পররাষ্ট্র সচিব এর আগে আমাদের দেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। তার সময়ে অনেক ভালো কাজ হয়েছে। আগামী ১৭ মার্চ মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী আমাদের দেশে আসবেন, এ সফরে সে বিষয়ে আমাদের সঙ্গে সার্বিক আলোচনা করবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আমাদের সঙ্গেও তার আলোচনা হবে।

সেমিনারে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস আতঙ্কের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, এখন এ ভাইরাস কমে এসেছে, তবে সতর্কতা বাড়াতে হবে। তা নাহলে আবারও হঠাৎ করে এটা বেড়ে যেতে পারে। এ ভাইরাস নিয়ে আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক ছিলাম। চীন থেকে আগত যাত্রীদের আমরা পর্যবেক্ষণে রেখেছিলাম। চীনে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা সবাই নিরাপদে আছেন এবং ফিরে আসছেন।

সেমিনারে বাংলাদেশস্থ চীনা অ্যাম্বাসির ডেপুটি চিফ অব মিশন ইয়ান হুয়ালং বলেন, কোভিন-১৯ ভাইরাসের কারণে চীন এখন বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। করনা ঠেকাতে মাত্র ১০ দিনে আমরা হাসপাতাল তৈরি করেছি। পরবর্তী সময়ে চিকিৎসক ও হাসপাতালের সংখ্যাও বাড়িয়েছি। এখন করোনা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে আছে। ভাইরাস মোকাবিলায় বাংলাদেশ সক্ষমতা অর্যন করেছে, তারা সার্বিকভাবে আমাদের সহযোগিতা করছে।

বিআইআইএসএস'র চেয়ারম্যান, রাষ্ট্রদূত এম ফজলুল করিমের সভাপতিত্বে আয়োজিত সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন- বিআইআইএসএস'র ভারপ্রাপ্ত ডিজি কর্নেল শেখ মাসুদ আহমেদ, সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সি ফয়েজ আহমেদ, হোসাইন জামিল প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৭ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০২০২
ইএআর/এইচজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।