রোববার (১ মার্চ) রাজধানীর বিআইআইএসএস মিলনায়তনে এক সেমিনারে একথা বলেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ে প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে ভারতের অবদান অস্বীকার করার উপায় নেই।
‘সম্প্রতি ভারতের দিল্লিতে সহিংসতা হচ্ছে। কেউ চায় না এটা হোক, আমরা সহিংসতার বিপক্ষে। তবে দিল্লির সহিংসতা একান্ত ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমরা চাইবো যত দ্রুত সম্ভব এটার সমাধান আসুক। ’
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার আসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভারতের পররাষ্ট্র সচিব এর আগে আমাদের দেশের হাইকমিশনার ছিলেন। তার সময়ে অনেক ভালো কাজ হয়েছে। তাছাড়া আগামী ১৭ মার্চ মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী আমাদের দেশে আসবেন। সে বিষয়ে তিনি সার্বিক আলোচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আমাদের সঙ্গেও আলোচনা হবে।
সেমিনারে করোনা ভাইরাস নিয়ে সচিব বলেন, এখন এ ভাইরাস কমে এসেছে তবে ভিজিলেন্স বাড়াতে হবে। তা না হলে আবারও এটা হঠাৎ বেড়ে যেতে পারে। এ ভাইরাস নিয়ে আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক ছিলাম। চীন থেকে আগত যাত্রীদের আমরা পর্যবেক্ষণে রেখেছিলাম, চীনে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা সবাই নিরাপদে আছেন এবং ফিরে আসছেন।
সেমিনারে চীনা অ্যাম্বাসির ডেপুটি চিফ অব মিশন ইয়ান হুয়ালং বলেন, করোনা ভাইরাসের কারনে চীন এখন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। মাত্র ১০ দিনে আমরা হাসপাতাল তৈরি করেছি, পরে চিকিৎসক ও হাসপাতালের সংখ্যা বাড়িয়েছি। এখন উন্নতির দিকে আছে। ভাইরাস মোকাবিলায় বাংলাদেশ সক্ষমতা অর্জন করেছে, তারা সার্বিকভাবে আমাদের সহযোগিতা করেছে।
বিআইআইএসএস-এর চেয়ারম্যান এম ফজলুল করিমের সভাপতিত্বে আয়োজিত সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন বিআইআইএসএস-এর ভারপ্রাপ্ত ডিজি কর্নেল শেখ মাসুদ আহমেদ, সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সি ফয়েজ আহমেদ, হোসাইন জামিল প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৬ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০২০
ইএআর/এএ