ঢাকা, সোমবার, ৬ মাঘ ১৪৩১, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

মুজিববর্ষে ৫০ লাখ নারীর ক্ষমতায়ন করা হবে: ইন্দিরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৯ ঘণ্টা, মার্চ ১, ২০২০
মুজিববর্ষে ৫০ লাখ নারীর ক্ষমতায়ন করা হবে: ইন্দিরা

ঢাকা: মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, জাতির পিতা দেশ স্বাধীনের পরপরই সংবিধানে নারীর অধিকার ও সমতা নিশ্চিত করেন। আওয়ামী লীগ সরকারই এদেশে নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে কল্যাণকর বিভিন্ন আইনও নীতি প্রনয়ণ করেছে। মুজিববর্ষে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে ৫০ লাখ প্রান্তিক ও সুবিধা বঞ্চিত নারীর ক্ষমতায়ন করা হবে।

রোববার (১ মার্চ) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে এসব কথা বলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী। আগামী ৯ থেকে ২০ মার্চ নিউইয়র্কে জাতিসংঘের উদ্যোগে কমিশন অন দ্য স্টাটাস অব উইমেন-এর ৬৪তম অধিবেশনের মূল আলোচ্য বিষয় 'Review and appraisal of the implementation of Beijing Declaration and Platform for Action'।

এ বিষয়ে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং 'ইউএন উইমেন বাংলাদেশ'র যৌথ উদ্যোগ এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।  

সভায় প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১০ বছরে নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের লক্ষ্য নারী উদ্যোক্তা সৃষ্টি, কর্মসংস্থান, সমতা প্রতিষ্ঠা ও বৈষম্য হ্রাসে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন, যার ফলে সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষে। বিএনপি ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে চার বছর জাতীয় সংসদে নারী সংরক্ষিত আসন বন্ধ রেখেছিল। শুধু তাই নয়, তারা আওয়ামী লীগ সরকারের সময় প্রণীত নারী উন্নয়ন নীতিও বাতিল করে দেয়। এর ফলে বাংলাদেশে নারীর অগ্রগতি বন্ধ হয়ে যায়।

সভায় কমিশন অন দ্য স্টাটাস অব উইমেনের ৬৪তম সভায় আলোচিত হতে যাওয়া 'বেইজিং প্লাটফর্ম ফর অ্যাকশন'র ফলাফল, নারীর অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন, শোভন কর্মপরিবেশ, দারিদ্র্য হ্রাস, সহিংসতা প্রতিরোধ, সর্বস্তরে নারীর ক্ষমতায়ন ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নারীর সমতা অর্জন বিষয়ে আলোচনা হয়। এছাড়া বেইজিং ঘোষণা
পরবর্তী ২৫ বছরে দেশে নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের চিত্র তুলে ধরা হয়।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী রওশন আক্তারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ইউএন উইমেনের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ শোকো ইশিকাওয়া ও দিপ্ত ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক জাকিয়া কে হাসান।  

সভায় মুক্ত আলোচনা পর্বে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের শীপা হাফিজা ও বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের মালেকা বানুসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ফোকাল পয়েন্ট, বেসরকারি ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। এতে এক কিশোরীও তরুণ সমাজের পক্ষে বক্তব্য রাখে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০২০  
জিসিজি/এইচজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।